সঙ্গীতা চৌধুরী: – আমরা হাজারটা মন্ত্র জপ করি,অথচ সেই মন্ত্র জপ হওয়ার পর যখন কাজ হয় না তখন আমরা বলি মন্ত্রের কোন শক্তি নেই। কথাটি কিন্তু পুরোপুরি মিথ্যে- মন্ত্রের শক্তি আছে কিন্তু সেই শক্তি তখনই কার্যকর হয় যখন আমরা নিজেরা উত্তম আধার হতে পারি। এই প্রসঙ্গে আমি কথা বলছিলাম বিরাচারী সাধক পন্ডিত শিবানন্দপুরীর সাথে, তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বিভিন্ন রকম সমস্যায় নানা দেব-দেবী ও ঠাকুরের মন্ত্র জপ করে থাকি, যখন সেই মন্ত্র জপে কাজ হয় না তখন আমরা ভাবি,কেন এমনটা হলো ? কেন এমনটা হয় ? কেন মন্ত্রে কাজ হয় না ?”
পন্ডিত শিবানন্দপুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রত্যেকটি মন্ত্রেই কাজ হয়, তবে সেই মন্ত্র অবশ্যই গুরুর থেকে প্রাপ্ত মন্ত্র হতে হবে, বই পড়ে বা অন্য কোথাও থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই মন্ত্র পড়লে তাতে খুব একটা কাজ হয় না। আসলে মন্ত্র যদি গুরু প্রদত্ত না হয়, তাহলে সেই মন্ত্র জপ বৃথা হয় বরং উল্টে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে আর যারা দীক্ষিত তাদের জন্য ইষ্ট মন্ত্র ই সব, গুরু কানে যে মন্ত্র দিয়েছে সেই মন্ত্রই তাকে যে কোনো বিপদ ও সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া শিষ্য যদি কখনো অন্য কোনো মন্ত্র জপ করতে চান, সে ক্ষেত্রেও তাকে সেই মন্ত্র গুরুদেবের কাছ থেকেই প্রাপ্ত হতে হবে।”- তাই বুঝতেই পারছেন কোন মন্ত্র জপ করে যদি আপনি ফল না পান তাহলে আপনাকে গুরুদেবের নিকট যেতে হবে, কারণ একজন গুরু ই পারেন মন্ত্রের মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তারপর সেই মন্ত্র আপনাকে দিতে, সাধারণ মানুষের পক্ষে মন্ত্রে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় আর কলিযুগের মানুষের মধ্যে সেই সাধনাও নেই! তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রে বা জপে কাজ হয় না।