শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- ডোমজুড়ের নাবালিকার রহস্য মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ওই নাবালিকার প্রেমিক ও প্রেমিকের বাবা। গতকাল ধৃত দুজনকে কোর্টে তোলা হলে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় ছাতনা পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে বিশ্বনাথ ব্যানার্জি নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ছাতনা থানা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি এলাকায় চিকিৎসা করতেন। মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়ার আগে ওই নাবালিকা মেয়েটিরও চিকিৎসা করেছিল এই হাতুড়ে ডাক্তার, তারপরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। গতকাল মঙ্গলবার রাত্রি নাগাদ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ছাতনা থানার পুলিশ বিশ্বনাথ ব্যানার্জিকে তার বাড়ি বনপুশড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। আজ বুধবার তাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পাঠালো ছাতনা থানা পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ১৫ নভেম্বর দক্ষিণেশ্বর পুজো দেওয়ার নাম করে ডোমজুড়ের বাসিন্দা নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় ছাতনার তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধগড়া গ্রামের বাসিন্দা রাহুল বাউড়ী। দুজনের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বিফল হন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। পরে রাহুলই তাদের ফোন করে জানান তিনি তার প্রেমিকাকে নিয়ে বাঁকুড়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে নাবালিকা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেতেই তড়িঘড়ি নাবালিকার পরিবার ছুটে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তাঁরা গিয়ে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রাহুল বাউড়ী ও তার বাবার বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার অভিভাবক। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।