জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান:- আবহাওয়াবিদদের সতর্ক বার্তা উপেক্ষা করে পেশাগত কাজে গুসকরা পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবরাজ মিত্রকে নিয়মিত বাড়ির বাইরে যেতে হয়। বর্তমান তাপপ্রবাহ কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রার পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে সেই সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। কোন উপায়ে এই দুঃসহ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে তাও তিনি শুনেছেন। সেখানেই তিনি থেমে থাকেননি। নিজের সাধ্যমতো শোনা কথার বাস্তব প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন।
গত ২৮ শে এপ্রিল পুত্র দেবজিৎ এর পঞ্চম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাড়িতে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মিত্র দম্পতি দেবরাজ ও পূজা। তারা সিদ্ধান্ত নেন অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে তুলে দেবেন একটি করে চারাগাছ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা একে একে প্রায় ৪০ জন অতিথিদের হাতে মেহগনি গাছের চারা তুলে দেন। ছোট্ট দেবজিৎ যখন তাদের হাতে চারাগাছ তুলে দেয় তখন অতিথিদের মুখে ফুটে ওঠে বিস্ময় মিশ্রিত হাসি। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পীযূষ সাহা, শিক্ষক প্রদীপ দে ও উজ্জ্বল চ্যাটার্জী, অলক ভাদুরি, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী মাণিক ভৌমিক, সঞ্চিতা ব্যানার্জ্জী সহ আরও অনেকেই।
সঞ্চিতা দেবী বলেন – সাধারণত এই ধরনের সামাজিক উৎসবে অতিথিদের পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেওয়া হয়। আজ সম্পূর্ণ অন্য এক অভিজ্ঞতা হলো। সবাইকে বিস্মিত করে নিমন্ত্রণকর্তা আমাদের হাতে উপহার হিসাবে তুলে দিলেন চারাগাছ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা এক অভিনব ভাবনা।
অন্যদিকে পূজা দেবী বলেন – আমাদের সাধ্যমতো আমরা মেহগনি গাছের চারা অতিথিদের হাতে তুলে দিয়েছি। ঠিকমত যত্ন নিলে এই চারা যখন বৃক্ষে পরিণত হবে তখন যেমন পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে তেমনি পরিণত মেহগনি বৃক্ষ থেকে কিছু আয়ও হবে। আমরা চাই ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে প্রত্যেকেই যেন চারাগাছগুলির যথাযথ যত্ন নেন।