eaibanglai
Homeএই বাংলায়কোলিয়ারিতে বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড, জখম বেশ কয়েকজন

কোলিয়ারিতে বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড, জখম বেশ কয়েকজন

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি ১ ও ২ নং এলাকায় ইসিএলের কোলিয়ারিতে বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। গ্রাম কমিটির সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠলো চিনাকুড়ি এলাকার যুবকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম হয়েছেন এক মহিলা সহ গ্রাম কমিটির বেশ কয়েকজন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে ইসিএলের কুলটির চিনাকুড়ি ১ ও ২ নং কোলিয়ারি একটি বেসরকারী সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। সেই বেসরকারি সংস্থা এলাকার ৫০ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কারা চাকরি পাবে, তারজন্য আগেই তৈরি করা হয়েছে গ্রাম কমিটি। প্রথম দফায় সেই মতো ৩০ জন বেসরকারি সংস্থার হয়ে চাকরি পেয়েছে। দ্বিতীয় দফায় এই কোলিয়ারিতে আরো ২০ জন স্থানীয় যুবকের নিয়োগে তালিকা জমা করতে এদিন গিয়েছিলেন গ্রাম কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তারা বেসরকারি সংস্থার অফিসে সেই তালিকা জমা করার আগেই খনি চত্বরেই তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তালিকা সংক্রান্ত নথিও ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।

পরে আক্রান্তরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হন। আক্রান্তদের তরফে জগাই মাহাতো অভিযোগ করে বলেন, “এই কয়লাখনিতে চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে সমস্ত গ্রামের মানুষেরা আন্দোলন করেছিলেন। একটি গ্রাম কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে ৩০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আরও ২০ জন নিয়োগের কথা রয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ২০ জনের তালিকা তৈরি করি। শুক্রবার সেই ২০ জন নিয়োগের তালিকা জমা করতে যাওয়ার সময় মারধরের ঘটনা ঘটে।”

আক্রান্তরা জানান, রাজু নুনিয়া ও বড়া নুনিয়া নামে স্থানীয় দুই যুবক তাদের আটকে তালিকা দেখতে চায় এবং বেশ কয়েকজনের নাম বাদ দিতে বলে। কিন্তু কমিটির সবাই মিলে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছে, ফলে কারো নাম বাদ দেওয়া বা ঢোকানো যাবে না বলা হলে তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে ওই দুই যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, দুই যুবকের নামে মারধর করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারা পলাতক। তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, কোলিয়ারির বরাত পাওয়া বেসরকারি সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এখন আর কাউকে নিয়োগ করা হবেনা। আগে গ্রামের মানুষেরা নিজেদের মধ্যেকার ঝামেলা মিটিয়ে নিক তারপরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments