সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– বৃহস্পতিবার থেকে আসানসোলে সিবিআই আদালতে শুরু হল বহু চর্চিত কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া।
এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। প্রথমেই সিবিআইয়ের আইনজীবি রাকেশ কুমার চার্জ গঠনের আবেদন জানান। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের আইনজীবির কাছে জানতে চান কোন কোন ধারায় কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার উত্তরে রাকেশ কুমার জানান, পাবলিক সারভেন্ট বা সরকারি চাকুরীজীবী হিসেবে ১২ জন ইসিএল কর্মী, কোম্পানি ১০টি ও ইনডিভিজুয়াল বা ব্যক্তিগত ভাবে ২৭ জনের নামে অর্থ্যাৎ মোট তিনটি ভাগে অভিযুক্তদের ভাগ করে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। তারমধ্যে ব্যক্তিগত ২৭ জনের মধ্যে তিনজনকে আলাদা করে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জ গঠন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সিবিআইয়ের দেওয়া ধারাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাদের দাবি, এমন অনেক ধারা তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে, যা এই মামলার ক্ষেত্রে কার্যকর হয়না। তারা তাদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য বিচারকের কাছে সময় চান। সবকিছু শুনে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী সোমবার ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন। সেই শুনানির পরে কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠনের দিন ঠিক হবে।
আদালত সূত্র থেকে জানা গেছে, যে তিনজনের বিরুদ্ধে সিবিআই আলাদা করে চার্জ গঠনের কথা এদিন আদালতে বলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলেন লালা ওরফে অনুপ মাজি। তার বিরুদ্ধে অন্যদের তুলনায় একাধিক ধারা যোগ করা হয়েছে। এছাড়াও সেই তালিকায় আছেন রত্নেশ্বর ভার্মা ও বিকাশ মিশ্র। এই দুজনের বিরুদ্ধেও একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ, লালাকে সিবিআই ডেকে জেরা করলেও, গ্রেফতার করতে পারেনি। তাকে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা কবচ দিয়েছিলো।
প্রসঙ্গতঃ, এই কয়লা পাচার মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। তার মধ্যে বিনয় মিশ্র এখনো ফেরার। তাকে সিবিআই খুঁজে পায়নি। এছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অর্থাৎ বাকি ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। এদিন ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন। একজনের মা মারা যাওয়ায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন । আর একজন অসুস্থ বলে তার আইনজীবী আদালতে জানান।