অমল মাজি, দুর্গাপুরঃ- ভীম পুলিশের ‘গদা’ জমা পড়তেই এবার লোহা কারবারিদের বিরুদ্ধে ধর পাকড় শুরু দুর্গাপুরের কো্কওভেন থানা এলাকায়। তবে, অঙ্গঁদপুর-রাতুড়িয়া এলাকায় ত্রাস চালানো লোহা কারবারিদের কাউকেই ধরা না গেলেও, দুই লোহা কারবারির নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে লোহার ছাঁট বোঝাই দুটি লরিও।
কোকওভেন থানা লাগোওয়া হুচুকডাঙ্গাঁ এলাকাটি লাগাতার লোহা পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। সেখানে কয়েকমাস ধরে বুক ফুলিয়ে কারবার করে যাচ্ছে এলাকার পরিচিত কয়েকজন লোহা মাফিয়া। হুচুকডাঙ্গাঁ এলাকায় বিতর্কিত একটি ট্যুরিস্ট সেন্টার চালানো প্রাক্তন কাউন্সিলার বুকুন নন্দী সম্প্রতি লোহা কারবার নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি জানান, “হুচুকডাঙ্গাঁয় দুর্গাপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ছাই পুকুরে ঘাঁটি গেড়ে এখানকার বন্ধ কলকারখানা গুলি থেকে লোহা লুঠ করে কারবার চালাচ্ছিল”। অভিযোগ- গোবর্ধন রেড্ডি, উমেশ যাদব, দিলীপ কীর্তনিয়া, রাজা গুন নামের লোহা কারবারিরা দিনের পর দিন হুচুকডাঙ্গাঁ কে লুঠের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ছেড়েছে। আর তাদের মাথার ওপর রক্ষাকর্তা হিসেবে গদা ধরে আশ্রয় দিয়ে গেছেন ভীম শংকর তেওয়ারী নামে কোকওভেন থানার একজন এ.এস.আই। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোকওভেন থানা থেকে ভীম-পুলিশ কে বদলি করে দুর্গাপুর পুলিশ লাইনে বসিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়। কিন্ত, অন্য একটি নির্দেশে সেই বদলি সাময়িক ভাবে স্থগিত হলেও, ভীম-পুলিশ কে বিতর্কিত এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, ভীম-পুলিশের ঘোরাঘুরি বন্ধ হতেই কো্কওভেন থানার পুলিশ লোহা চুরির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে। কো্কওভেন থানা সুত্রেই জানা গেছে, ভীম পুলিশ কে আড়ালে রেখে গত রাত্রে বিতর্কিত এলাকায় আচমকাই হানা দেন থানার ওসি সন্দীপ দাস। আটক করেন বন্ধ কারখানা থেকে লুঠ হওয়া লোহা বোঝাই দুটি ৪০৭ ট্রাক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- একটি লরির নম্বর প্লেট (ডব্লু বি ৩৯/৮৮২৯) থাকলেও, অন্য লরিটিতে নম্বর প্লেট ই ছিল না। বাজেয়াপ্ত লরি দুটির ড্রাইভারদের জেরা করে পুলিশ দিলীপ কীর্তনিয়া ও সেখ সেন্টু নামে দুই দাগী লোহা চোরের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা রুজু করেছে। যদি ও, দুই অভিযুক্ত ই এলাকা ছাড়া।
দুটি আটক হওয়া লরির, একটির মালিক দুর্গাপুরেরই রেজিনা বেগম। গাড়টি ২০০৬ এর ১০ মার্চ কেনা হয়েছিল দুর্গাপুর থেকেই।