eaibanglai
Homeএই বাংলায়ভগবানকে দুঃখের কথা বলার পর এই প্রতিবেদনটি‌ পড়ুন! মন শান্ত হবেই!

ভগবানকে দুঃখের কথা বলার পর এই প্রতিবেদনটি‌ পড়ুন! মন শান্ত হবেই!

সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- আমাদের জীবনে এমন কিছু দুঃখ থাকে যেগুলোকে আমরা মনে মনে অনুভব করি কিন্তু সেই দুঃখ বেদনা গুলিকে প্রকাশ করবার মতো মানুষ খুঁজে পায় না। কারন আমাদের দুঃখ বেদনা বুঝে আমাদের ব্যাথায় সমব্যথী হবেন এমন মানুষ বর্তমান যুগে বিরল। আবার দুঃখ ব্যথা নিয়ে বারংবার ভাবতে থাকলে কোথাও না কোথাও গিয়ে একজন মানুষ নিজেই মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে ক্ষেত্রে তিনি কী করবেন? প্রবল দুঃখ হলে একজন মানুষ কী করেন এই প্রশ্ন করতে গেলে আমাদের ধর্মের দ্বারস্থ হতে হয়। যেকোন‌ও ধর্মই একজন ব্যক্তিকে দুঃখ অথবা সংকটের সময় সর্বশক্তিমান ভগবানের শরণাপন্ন হতে বলেন।

কিন্তু আমাদের মনের দুঃখগুলো যখন আমরা ভগবানকে ব্যক্ত করি তারপরেও আমরা হালকা হতে পারি না, কারণ ভগবানের মুখের থেকে আমরা সেই মুহূর্তে কোন প্রত্যুত্তর পাই না। তাই আমরা আরও বেশি ভেঙে পরি। কিন্তু এর‌ও উত্তর রয়েছে সনাতন ধর্মে। স্বামী ভূতেশানন্দজী মহারাজ বলেছেন দুঃখ কষ্ট হলে কী করা উচিত এবং ভগবানকে নিজের মনের কথা বলার পর ভগবানের থেকে প্রত্যুত্তর না পেলে কী বোঝা উচিত? আজকের প্রতিবেদনে আমি আপনাদের এমন কথা বলতে চলেছি যা শুনলে চরম দুঃখ বেদনার মধ্যেও মন শান্ত হবে সমাহিত হবে।

স্বামী ভূতেশানন্দজী মহারাজ বলছেন, “মনে যখন দুঃখ হবে, বেদনা পাবে, মন্দিরে গিয়ে ঠাকুরকে তোমার মনের দুঃখ, বেদনার কথা বলবে। উত্তরে তিনি যা বলবেন তা শোনার মত কান তোমার তৈরী হয়নি, কিন্তু নিশ্চিত জানবে, তিনি তোমার কথা শুনছেন, শুনছেন, শুনছেন। গুরুমুখে ঠাকুরের কথা যেমন শুনেছ, ধ্যান করে তাঁকে যেমন অনুভব করেছ, শাস্ত্রগ্রন্থ অধ্যয়ন করে যেমন ধারণা হয়েছে, তিনি ঠিক তেমনি, চির অপরিবর্তনশীল। তিনি তোমার সুখ ও দুঃখের বন্ধু, ব্যাথার ব্যাথী।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments