eaibanglai
Homeএই বাংলায়ড্রাগস? গাঁজা? ফোন ট্রাপিং? শয়তানের মুখোশ খুলতে থামছিনা

ড্রাগস? গাঁজা? ফোন ট্রাপিং? শয়তানের মুখোশ খুলতে থামছিনা

স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুরঃ ‘হোলি? কাব হ্যাঁয় হোলি’ ৫০ বছর পর গব্বর সিং এর সেই অমর ডায়লগটাই কি উত্থাল পাথাল করল দুর্গাপুর থেকে কলকাতা ভায়া বর্ধমান? সম্ভবত তাই। কারণ প্রায় অমনই একটি ডায়লগ যদি দুর্গাপুরের হবু মড়ল এক প্রভাবশালী মুখ ফসকে বলেই বসলেন, তো পুলিশ, নেতা, গোয়েন্দা থেকে ডজনখানেক ফেউ শুক্রবারের হোলির দিনভর আদাজল খেয়ে তুকি নাচন শুরু করে দিলেন। কত ব্যস্ত তারা। এক পুলিশ সুপার, এক অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার তো বটেই আরো গন্ডা খানেক গোয়েন্দা ফৌজ ওই প্রভাবশালীর হুকুম তামিল করতে কখনো ফোন ট্রাপিং, কখনো হয়তো গাঁজা বা নিষিদ্ধ ড্রাগসের খোঁজ শুরু করলেন হন্যে হয়ে। কি করে গুঁজে দেওয়া যায় এই বাংলায় ডট কম এর সম্পাদকের ঘরে।

বিশ্বস্ত সূত্র, মারফত জানা গেছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক রাজু মিশ্রা দুর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনারকে একটি হোটেলের সম্পর্কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে বললেন। হাতে প্রমাণপত্র আসার পর সেই খবর প্রকাশ করল এই বাংলায় ডট কম। যেন আগুনে ঘি পড়ল। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো হোটেল মালিক বুক পেট। হোলির দিন বেআইনি নির্মাণে ভরা ওই হোটেলের স্বল্প বসনা নারীদের কার্যত বেলেল্লাপনার নাচের পসরা বসিয়ে তখন লালসার নেশায় দুর্গাপুর। তখন প্রায় পৌষ্য-পেয়াদারদের মতো তার হুকুম তামিল করা পোশাকের বা সাদা পোশাকের গুটিকয় পুলিশ আধিকারিক দিনভর অন্য রঙের খেলায় মশগুল রইলেন। তাদের নাকি এদিনের টাস্ক ছিল একটাই এই বাংলায় ডট কম এর সম্পাদক মনোজ সিংহের তিনটি সেল ফোন ট্র্যাক করে তার যোগাযোগ, কথোপকথনের হাঁড়ির হদিশ খুঁজে বের করানো।

মনোজ জানান, “ইলেন মাসকের দুনিয়ায় প্রযুক্তি যে ঠিক কোন স্তরে পৌঁছে গেছে তার হদিশ রাখা বা নিজেদের আরো আপডেট করে রাখার সময় এখন। সম্ভবত অনেকেই এখনো এনক্রিপটেড নোটিফিকেশনটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি। তাইতো একটি বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োগে কে কখন, বা কতক্ষণ কোনো বিশেষ ফোন নাম্বারে ট্র্যাক করলেন তার নোটিফিকেশন অন্য একটি নাম্বারে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পৌঁছে যাবে। তার জন্য অবশ্য প্রয়োজন একটি বিশেষ অ্যাপ। বিশেষ ডেডিকেটেড অ্যাপ বটন। যেটি একটি বিশেষ অ্যাপ মারফত ডাউনলোড করে নিতে হয়।”

মনোজ আরো বললেন, “ওরা ওদের হোলির দিন টা হয়তো গাঁজা- ড্রাগস জোগাড় করতেই কাটিয়ে দিলেন কারো হুকুম তামিল করার দায়ে। আমি কিন্তু নিশ্চিন্তে ছুটির দুপুরটা ঘরেই ঘুমিয়ে কাটালাম। কাল হয়তো সন্ত্রাসবাদী বলবে। আমার অপরাধটা কোথায়? আমি ব্যক্তি স্বার্থ নয়, অনুসন্ধান মূলক খবর পরিবেশন করে চলেছি, কিছু সাধু বেশী শয়তানের মুখোশ খুলতে। আর তাতে থামছিনা।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments