সংবাদদাতা,বাঁকুড়ঃ– গতকাল বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়ামে একটি দলীয় কর্মীসভায় যোগদান করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন। সভা মঞ্চ থেকে নাম করে বাঁকুড়ার জগদল্লা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত শীট এবং সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির বিরুদ্ধে স্বজন-পোষনের অভিযোগ তোলেন । তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান সুশান্ত শীটের বাবার নামে এবং সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি স্ত্রী’র নামে আবাস যোজনায় বাড়ি এসেছে। এই স্তরের জনপ্রতিনিধি হওয়ার সত্বেও কিভাবে স্বজন-পোষন হয়।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার ঠিক পরের দিনই তাঁর এই মন্তব্যকে নিয়ে নিয়ে সারা বাঁকুড়া জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপি পরিচালিত জগদল্লা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান সুশান্ত শীটের দাবি,’অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় জানেন না ২০১৮ সালের সার্ভে রিপোর্টে আমার বাবার নামে বাড়ি এসেছে, তখন আমি একজন ড্রাইভার ছিলাম পঞ্চায়েত প্রধান ছিলাম না’। পঞ্চায়েত প্রধানের এই ধরনের মন্তব্যে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন জগদল্লা ১নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সোমনাথ চৌধুরী,তিনি বলেন ‘পঞ্চায়েত প্রধান সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দিচ্ছেন,২০১৮ সালের ঘটনা নয় এটা উনি নতুন করে নিজের বাবার নাম ঢুকিয়েছেন’।
অপরদিকে সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী যার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ‘ যিনি আমার বিরুদ্ধে এই কথা বলে গেছেন তিনি একজন সোনা চোরের স্বামী তার মুখে এই বড় বড় কথা মানায় না, ২০১৮ সালের সার্ভে রিপোর্টে এই বাড়ি এসেছে তখন আমি বিধায়ক ছিলাম না,আমাদের কোনও সাংসদ ছিল না। আর যেইদিন আমার স্ত্রীর নামে বাড়ি এসেছে সেই দিনই জেলা শাসক এবং বিডিও সাহেবকে চিঠির মাধ্যমে সেই বাড়ি বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছি’।
পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে জেলা জুড়েই শাসক বিরোধী তরজা চলছে। এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য সেই তরজা আরো উস্কে দিল বলেি মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।