নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ একেই ভোটের উত্তাপ। তার ওপরে বৈশাখের প্রচন্ড দাবদাহে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সকালে সূর্য ওঠার পর থেকে বাইরে বেরোনো এখন দায়। বৈশাখের এই প্রবল দাবদাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত দক্ষিণবঙ্গবাসীর। চৈত্রের কয়েকটা দিন কালবৈশাখী ঝড় হলেও সেরকম বৃষ্টির মুখ দেখেনি দক্ষিণবঙ্গবাসী, ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে আশা জাগাচ্ছে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে তৈরী হওয়া ফেনী নামক ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪ঠা মে ওড়িশার পারাদ্বীপ হয়ে এই রাজ্যে ঢুকবে অতি শক্তিশালী ঘূর্নিঝড়। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের সময় ঘূর্নিঝড় ফেনির গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১১৫-১২০ কিলোমিটার সঙ্গে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হবে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ৪ মে থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমুদ্রতীরবর্তী উপকূলে। সেই সঙ্গে চাষাবাদেরও যাতে ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব রোধ করা যায় তার জন্য চাষীদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। ওড়িশা সরকার ঘূর্ণিঝড় ফেনির মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনকে। সমুদ্র তীরবর্তী সমস্ত সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপৎকালীন অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা কিছুটা হলেও আশা জুগিয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসীর মনে। কারণ বৈশাখের প্রবল দাবদাহ সঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল দক্ষিণ বঙ্গবাসী। দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রার পারদ এতটুকু নিচে নামেনি। বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, আসানসোল, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪২-৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে সঙ্গে আর্দ্রতা অস্বস্তি বাড়িয়েছে দ্বিগুন। তাই আপাতত আগামী ৪ঠা মে ঘূর্ণিঝড়ের হাত ধরেই দক্ষিনবঙ্গে বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় কলকাতাসহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গবাসী।