সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- এমন একটি আশ্রম আছে যেখানে মহাকাল দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে রয়েছেন দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ,একই সাথে রয়েছেন প্রাচীন ভারতের সাত জন ঋষির মন্দির। কোথায় আছে এই সপ্ত ঋষির মন্দির? এই সপ্ত ঋষিই বা কারা? হরিদ্বারের শান্তি কুঞ্জের আদলে করা হয়েছে এই আশ্রম। ২০০০ সালে পন্ডিত শ্রী রাম শর্মা আচার্য ও শ্রীমতী ভগবতী দেবী এই আশ্রমটি তৈরি করেন। এই আশ্রমে পাবেন সপ্ত ঋষির মন্দির, এই সপ্ত ঋষিরা হলেন মহাঋষি ভাগীরথ, মহাঋষি বাল্মিকী থেকে শুরু করে বশিষ্ঠ, যাঞ্জবল্ক্য, বিশ্বমিত্র, চরক ও পরশুরাম। এছাড়াও এখানে রয়েছেন ভক্ত শ্রেষ্ঠ হনুমান।
এই আশ্রমে নিত্য দুই বেলা গোমাতাদের সেবা দেওয়া হয়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে এই আশ্রমে আপনি যেতে পারেন। এই আশ্রমে গেলে আরো একটা জিনিস আপনারা দেখতে পাবেন যা আমার জানামতে সচরাচর কোনো আশ্রমে দেখতে পাওয়া যায় না। এই আশ্রমে গেলে মহাকালের রুদ্রমূর্তি থেকে শুরু করে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ অর্থাৎ শ্রী বিশ্বেশ্বর, শ্রী শ্রী কেদারনাথ, শ্রী ত্র্যম্বকেশ্বর, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ, শ্রী নাগেশ্বর,শ্রী রামেশ্বর, শ্রী ভীমাশঙ্কর, শ্রী বৈদ্যনাথ, শ্রী মমলেশ্বর, শ্রী মহাকালেশ্বর, শ্রী মল্লিকার্জুন, শ্রী সোমনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ দেখতে পাবেন আর এই জ্যোতির্লিঙ্গ গুলোর মাঝখানেই বিরাজমান রয়েছেন নন্দী মহারাজ। এখন চলুন বলে দিই এই আশ্রমটি কোথায় অবস্থিত?
বন্ধুরা ব্যান্ডেলের রাজহাটের গায়ত্রী দেবীর আশ্রমে গেলেই এই সপ্তঋষির মন্দির দেখতে পাবেন আপনারা, এর জন্য ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে একটি টোটো করলেই ১৬ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই আশ্রমে।