নীহারিকা মুখার্জ্জী চ্যাটার্জ্জী, দত্তপুকুর, উঃ চব্বিশ পরগণা -: ওদের সাধ অনেক কিন্তু সাধ্য সীমিত। সেই সীমিত সাধ্যকে পাথেয় করেই ওরা গত কয়েক বছর ধরে বারবার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কারণ ওরা নব যৌবনের প্রতীক ছাত্রদলের প্রতিনিধি। কেউ কেউ হয়তো সদ্য কলেজের চৌকাঠ অতিক্রম করে বৃহত্তর কর্মজগতে প্রবেশ করেছে। ওরা উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরের একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ‘আমরা মানবিক’ এর সদস্য যারা সারা বছর মানুষের পাশে ও সাথে থাকার চেষ্টা করে। পুজোর মুখে এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটলনা।
গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার অবস্থা ভাল নয়, নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছে। পুজো এগিয়ে আসছে। ওইসব কচিকাচাদের মন ভাল নাই। ওদের তখনও নতুন পোশাক জোটেনি। অভিভাবকদের কিনে দেওয়ার মত আর্থিক সামর্থ্য নাই। ওরা থাকে ‘আমরা মানবিক’ -এর দাদা-দিদিদের অপেক্ষায়। অবশেষে প্রকৃতি একটু সদয় হতেই প্রিয়া, পিন্টু, সুব্রত, টিঙ্কু, পার্থ, মিতু, সৈকত, কৌশিক, হৃদয়, শুক্লা, দীপালি, রিঙ্কু, শান্তা, আকাশ, সৃজা, অঞ্জলি, বিদিশা, প্রিয়াঙ্কা, সুনীতি, সঞ্জু অদিতি প্রমুখরা নতুন পোশাক নিয়ে হাজির হয়ে যায় ওদের কাছে। ওরা সব স্থানীয় পাঁচটি ইটভাটা, দত্তপুকুর স্টেশন সংলগ্ন ও ‘আমরা মানবিক’ পাঠশালার অসহায় কচিকাচা। একে একে আড়াই শতাধিক শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয় পুজোর জন্য নতুন পোশাক। বাঁধন ছাড়া আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখে বোঝা যায় নতুন পোশাক পেয়ে বাচ্চারা খুব খুশি। এলাকার যেসব সহৃদয় ব্যক্তি বারবার তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংস্থার অন্যতম সদস্যা অদিতি গায়েন বলেন, উনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষে এই মহতী কাজ করা সম্ভব হয়। আশাকরি আগামী দিনেও উনাদের পাশে পাব।