নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ আবারো উত্তপ্ত দুর্গাপুর । পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে শুক্রবার রাত থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হল দুর্গাপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ জোন ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ । ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত তালতলা বস্তি এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে বচসা এবং মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল শিল্প শহরে। এমন জায়গাতে পৌঁছালো যে উত্তেজিত জনতা কে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, কমব্যাট ফোর্স এবং গ্রেফতার করতে হলো কয়েকজনকে । ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী সহ সাধারণ মানুষও আহত হয়েছেন। জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ নিসান হাট বস্তি এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তিকে কেন্দ্র করে প্রাথমিকভাবে বচসা ছড়ায় । বস্তি এলাকার এক পরিবার স্থানীয় এক যুবক নটুর বিরুদ্ধে এ জোন ফাড়িতে অভিযোগ দায়ের করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে বসায় লিখতে হয়। বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে পৌঁছালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত নটু নামে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যুবক গ্রেফতারের খবর তার এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ৩০ – ৪০ জনের একটি দল এজোন ফাঁড়ি ঘেরাও করে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও এর পাশাপাশি থানা এবং থানার ভেতরে থাকা পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে খবর পেয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি(পূর্ব) অভিষেক মোদির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শুরু হয় পুলিশের পাল্টা লাঠিচার্জ। পুলিশের হামলা থেকে বাঁচতে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল বেশ কিছু দুষ্কৃতী পুলিশকে লক্ষ্য করে একের পরে এক বোমাবাজি করতে শুরু করে। জনতার এই বৃষ্টি এবং বোমার পাল্টা আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী কমবেশি আহত হয়েছেন । শুধু তাই নয়, পুলিশের পাল্টা হামলা এবং অভিযুক্ত যুবক কে মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করা কালীন দুষ্কৃতীরা স্থানীয় প্রান্তিকা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বাস, টোটো এবং অটোতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। অজানা কারণে শিল্প শহরে শুক্রবার সন্ধ্যায় এহেন পুলিশ – জনতা সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এর সেল নিক্ষেপ করতে হয় বলেও জানা গেছে । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত পার হলেও শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো থমথমে দুর্গাপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা । পুলিশি কাজে হস্তক্ষেপ এবং কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা এবং বোমাবাজি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে এখনো পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে পুলিশি তদন্ত চলছে।