নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের শ্যামপুর মোড় এলাকা। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। জানা গেছে স্থানীয় বাসিন্দা হরেন দাস (৭৫) সাইকেল নিয়ে রাস্তা পারাপার করার সময় একটি লরি তাকে ধাক্কা মারলে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। আর এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্থানীয় মানুষজন, মহিলারা রাস্তা অবরোধ করে। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ বচসা চলাকালীন পুলিশ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে। এরপর এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বচসা। মহিলাদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ ক্ষমা না চাইবে ততক্ষণ তাদের অবরোধ চলবে। তাদের আরও অভিযোগ, এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ট্রাফিক পুলিশ। ডিউটি চলাকালীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ না করে সিভিক ভলেন্টিয়াররা মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তাদের দাবি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবিলম্বে ওই সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে অন্ডালের মদনপুরে বালির গাড়ি চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গেছে, বুধবার প্রত্যেক দিনের মতো মনোজয় বাউরী নামে এক ব্যক্তি তাঁর দিদিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ সেইসময় মদনপুর পঞ্চায়েতের পুবরা বালি ঘাট থেকে বালি বোঝাই করা একটি লরি তাদের পেছন থেকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তনুজা বাউরীর (৪৫)। লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত মনোজয় বাউরী দুর্গাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরেই উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঘাতক ওই লরি এবং বালির গাড়ি যাতায়াতের জন্য গজিয়ে ওঠা সমস্ত অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় এলাকাবাসীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দেয় বেআইনি বালি কারবারিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেআইনি বালি পাচারের জেরে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে অথচ পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। দুর্ঘটনা ও উত্তেজনার খবর পেয়ে অন্ডাল থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।