নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ শীত পেরিয়ে এবার পালা গ্রীষ্মের। আর গ্রীষ্মকাল মানেই জলের চাহিদা বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেই বাড়তি জলের চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে তার বিকল্প খুঁজতে গিয়ে প্রত্যেক বছরেই সমস্যায় পড়তে হয় দুর্গাপুর পুরসভা তথা জলদফতরকে। তার ওপরে এবছর আরও খারাপ খবর শুনিয়েছে ডিভিসি। সম্প্রতি ডিভিসির দেওয়া এক তথ্য থেকে জানা গেছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমে গেছে দামোদরের জলের স্তর। আর এই খবর চাউর হতেই ফের দুর্গাপুর জুড়ে জলসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও এবিষয়ে এখনই কোনও আশঙ্কার কথা জানায়নি ডিভিসি। কিন্তু তাসত্ত্বেও ব্যারেজের লকগেট ভেঙে শহরজুড়ে তীব্র জলকষ্টের ঘটনার পর সতর্ক দুর্গাপুর পুরসভা। তাই গ্রীষ্মের দাবদাহ শুরু হওয়ার আগেই আপাতকালীন জল সংকটের মোকাবিলা করতে বিকল্প জলের উৎস খোঁজার চেষ্টায় উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। তাই যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহযোগীতায় দুর্গাপুর জুড়ে মাটির নিচে যে পানীয় জলের স্তর রয়েছে তা খুঁজে বের করার কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক ধাপে ২৬টি জলের স্তর পাওয়া গেছে। যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ ফুট নিচ থেকে ডিপ-টিউবওয়েলের সাহায্যে জল তুলে আনা যাবে। বুধবার সেরকমই দুটি ডিপটিউবওয়লের শিলন্যাস করলেন দুর্গাপুরের মাননীয় মেয়র দিলীপ অগস্তি। এদিন পিয়ালা পাম্প স্টেশন চত্বরে দুটি জল প্রকল্পের শিলন্যাস করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ অমিতাভ ব্যানার্জী, ৩২ নং ওয়ার্ডের ক্লাউন্সিলার মানস রায় সহ অন্যান্যরা। দুর্গাপুর জলপ্রকল্প দফতরের আধিকারিক পবিত্র বাবু জানান, দুর্গাপুর জুড়ে মোট ৩৬টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার জন্য আনুমানিক খরচ হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের ফলে শহরবাসীর জলকষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে বলে আশাবাদী তিনি।