নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনি এলাকায় সরকারি জমির ওপর অবৈধভাবে ক্লাব ও মোটর গ্যারেজ নির্মান ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। সরকারি আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়লো ক্লাবের সদস্য সহ স্থানীয়রা। জানা গেছে, ডিপিএল কলোনি এলাকায় সরকারি জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল অবৈধ নির্মাণ। কয়েকদিন আগেই ডিপিএল কর্তৃপক্ষ সেই জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। পূর্বনির্ধারিত নোটিশ অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে সরকারি তরফে শুরু হয় অবৈধ নির্মান উচ্ছেদ। আর উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ক্লাবের সদস্যরা ও স্থানীয় বাসিন্দারা এক জোট হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যার্থে দু-লক্ষ টাকা ব্যয়ে দুঃস্থ শিশুদের পড়াশোনার জন্য এই ক্লাব নির্মান করা হয়েছিল, সেইসঙ্গে ডিপিএল টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য একটি অস্থায়ী গ্যারেজ নির্মাণ করেছিল। যেখানে বিনা পয়সায় এলাকাবাসীদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা ছিল। অভিযোগ, ডিপিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশশ প্রশাসন জোর করে এদিন গ্যারেজে গাড়ি থাকা অবস্থাতেই গ্যারেজ ভেঙে দেয়। ঘটনার প্রতিবাদে ক্লাবের সদসর্যা জেসিবির সামনে শুয়ে পড়ে প্রতিবাদে সামিল হন। তাদের অভিযোগ, ডিপিএল কলোনি এলাকায় যেখানে অবৈধ নির্মান রয়েছে সেখানে উচ্ছেদ না করে বেছে বেছে নির্মান ভেঙে ফেলছে। অন্যদিকে দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র জানান তাদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, ডিপিএলের জমি দখল করে ব্যবসা চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই ক্লাবের অস্থায়ী গ্যারেজটিতে প্রত্যেকদিন ৫০টির মতো বাইক থাকত। মাসিক ১৪০ টাকা হিসেবে ওই গ্যারেজে বাইক রাখত বলে জানা গেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই আয়ের একটি অংশ যেত ক্লাব তহবিলে ও অন্যটি গ্যারেজের দেখভালের জন্য নিয়োগ করা নিরাপত্তারক্ষীর বেতন বাবদ খরচ হত বলে জানা গেছে।