নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুরে শেষ হতে চলেছে অবৈধ হোর্ডিংয়ের সিন্ডিকেট রাজত্ব। চ্যানেল এই বাংলায়-র খবরের পর শনিবার থেকে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে অবৈধ হোর্ডিং খোলার কাজ। আর এই খবর জানাজানি হতেই মোটা অঙ্কের টাকা আমদানি বন্ধের আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছে দুর্গাপুরের হোর্ডিংয়ের সিন্ডিকেটগুলি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বেআইনি ব্যবসা বন্ধ হলে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে তাদের। তাই শনিবার দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপ এলাকায় পুরসভার অভিযান শুরু হতেই সেই কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন তারা। হাইকোর্টের মামলার কাগজ হাতে বিজ্ঞাপনী এজেন্সিগুলির পুরসভা কর্মীদের আশেপাশে ঘুরঘুর করা ও হোর্ডিং খুলতে বাধা দেওয়ার ছবিই তা প্রমাণ করছে। কিন্তু তাদের কেউই জানেন না, হাইকোর্টে হোর্ডিং ব্যবসা নিয়ে যে মামলা চলছে তাতে শুধুমাত্র দুর্গাপুর শহরের বৈধ হোর্ডিংগুলির বকেয়া রাজস্ব মেটানো নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছিল তা নিয়ে, এর সঙ্গে বেআইনি হোর্ডিং ব্যবসার কোনও সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি জানিয়ে দিয়েছেন শহরের সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং খুলে ফেলা হবে। তিনি জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের যেকোনো প্রান্তে যখনই বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং বা কাঠামো নির্মান করা হবে তার আগে পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিয়ে হোর্ডিং বসালে পুরসভা তা খুলে ফেলতে বাধ্য। সেই মতো ডিএসপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ অভিযানও শুরু করেছে পুরসভা। ফলে সরকারী কাজে ওই বিজ্ঞাপনী এজেন্সিগুলির নাক গলানো তাদের নিজেদের জন্যই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। চ্যানেল এই বাংলায় দুর্গাপুরে অবৈধ হোর্ডিং সিন্ডিকেট রাজের যে অন্ততর্দন্তে নেমেছিল তাতে জড়িত বেশ কয়েকজনের নামও প্রমাণসমেত রয়েছে চ্যানেল এই বাংলায়-র হাতে। প্রয়োজনে আমাদের পরের প্রতিবেদনের দ্বিতীয় ভাগে আমরা সেই সমস্ত জড়িত ব্যক্তিও সংস্থার নাম তথ্য ও প্রমাণসহ তুলে দিতে পিছপা হব না।