নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বিয়ের ৮ মাসের মধ্যেই গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপরের কমলপুর এলাকায়। মৃতার নাম দীপা ঘোষ (২৩)। জানা গেছে, গত ৮ মাস আগে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী এলাকার এস এন বোস রোডের বাসিন্দা দীপার সাথে বিয়ে হয় কমলপুরের বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ নামে এক যুবকের। মৃতার পরিবারের বয়ান থেকে জানা গেছে, বিয়ের প্রথম তিন-চার মাস যাবৎ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও তারপর থেকে হঠাৎ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে পরিবর্তন আসে। তাদের বয়ান থেকে জানা গেছে, মেয়ে প্রায় জানাত জামাই তার সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যেই কৌশিক এবং মেয়ের শ্বাশুরি মমতা ঘোষ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত। অথচ মৃতার পরিবারের বক্তব্য, কোনোদিন পনের টাকা-পয়সা চেয়েও কোনও দাবি করা হয়নি। মেয়েও সেবিষয়ে কিছু জানায় নি। অথচ কোনও অজানা কারণে গত কয়েক মাস ধরেই দীপাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় একঘরে করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। বেসরকারি একটি বিএড কলেজের পড়ুয়া দীপার সোমবারেই বাপের বাড়ির আসার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসে দীপা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গেছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে গিয়ে দেখেন দীপা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালের স্ট্রেচারে। পরিবারের অভিযোগ দীপাকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষিতা মেয়ে দীপার এহেন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় দীপার স্বামী কৌশিক ঘোষ এবং শ্বাশুরি মমতা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। পুলিশ তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে আটক করেছে।