নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ গত শনিবার অর্থাৎ ২রা ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে বিজেপির একটি রাজনৈতিক জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি উপলক্ষ্যে জনজোয়ার নেমেছিল নেহেরু স্টেডিয়াম চত্বরে। তবে সাধারন মানুষ ও বিজেপি সমর্থকরা ছাড়াও সেইদিন নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় ভিআইপি পাস হাতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে এসেছিলেন দুর্গাপুরের ইস্কন মন্দির সংগঠনের প্রধান কর্তা ও তাঁর অনুগামী সাধু-সন্তরা। আর এই ছবি জনসমক্ষে আসতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিতর্কের ঝড় বইয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এক রাজনৈতিক জনসভায় কী করে এরকম এক ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত থাকেন। এবিষয়ে দুর্গাপুরের মানুষের একাংশের মনে প্রশ্ন, তাহলে এটাও কী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির গেমপ্ল্যান। অন্তত রাজনৈতিক দিক থেকে বিচার করলে এমনটা মনে হতেই পারে। কারণ, দুর্গাপুরের মতো শহরে যেখানে এরকম এক পুরনো তথা নামী ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যে দিয়ে যদি বিজেপির দলীয় ভাবাবেগের চোরাস্রোত বইয়ে দেওয়া যায় তাহলে তাদের মাধ্যমেই লক্ষাধিক ভক্তর কাছেও খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে দুর্গাপুরের বুকে মাটি শক্ত হবে বিজেপিরও। আর সেই কারনেই বিজেপির তরফে গত ২রা ফেব্রুয়ারি ভিআইপি পাশ দিয়ে বিশেষ এই ধর্মীয় সংগঠনটিকে ও সেই সংগঠনের সাধুসন্তদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রবেশাধিকার পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন বিরোধীপক্ষ। যদিও এই ঘটনাকে মোটেও ভালো-ভাবে নেননি শিল্পাঞ্চলের বিরোধী দলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বহু মানুষ। তাহলে কী এটা আবারও প্রমাণিত হল যে, দুর্গাপুরের বুকে এই ধর্মীয় সংগঠনটি চোরাগোপ্তাভাবে বিজেপির এজেন্ডাকে ভক্তদের সামনে তুলে ধরে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে? দেখুন জেলা সভাপতির সেই বক্তব্যের ভিডিও।