নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ যে সাধুরা চিকেন-চিলি খান এবং ভাঁওতাবাজ, তারাই নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ২রা ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে বিজেপির জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবার দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে এডিডিএ ভবন সংলগ্ন এক প্রতিবাদী ধর্নামঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি উত্তম মুখার্জী। রাজ্যে সিবিআই-পুলিশ দ্বন্দ্ব নিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ কর্মসূচী চালাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সেরকমই এক প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জেলা সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি জানান, গত লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য দেশের জনগণের কাছে একরাশ প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ৫ বছরেও সেই প্রতিশ্রুতির একটিও পূরণ করেন নি। প্রধানমন্ত্রীকে দূর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে তিনি জানান, গত ২রা ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে বিজেপির জনসভায় যেসমস্ত সাধুসন্তদের দেখতে পাওয়া গিয়েছিল তাঁরাও সমান দূর্নীতিগ্রস্ত। তাই নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে ও সিবিআই তদন্ত থেকে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে সেদিন দল বেঁধে বিজেপির জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। উত্তম মুখার্জীর আরও বক্তব্য, ওই সমস্ত সাধু-সন্তরা আদৌ সন্ন্যাসী নন এবং তারা চিকেন-চিলি খান এবং মানুষকে ভাওতা দিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করেন। তাঁর উদাহরণ স্বরূপ তিনি জানান, কোনও ব্রাহ্মণ সন্তানের যখন পৈতে হয়, তখন তাকে তিনদিন ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়। যেখানে সকল প্রকার খাদ্য (ফল, জল ব্যতীত)থেকে, মিথ্যে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হয় সেখানে এই সাধু-সন্তরা ব্রহ্মচর্য তো দূর অস্ত, সামান্য নিয়ম-নিষ্ঠাও পালন করেন না, উল্টো নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে ভাঁওতাবাজ নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দিয়েছিলেন। যদি বিস্তারিতভাবে তদন্ত হয় তাহলে আমার কথায় সঠিক প্রমাণ হবে বলে মত উত্তম মুখার্জীর। স্বভাবতই স্তম্ভিত দুর্গাপুরবাসী, প্রশ্ন একটাই, এইরকম একটি ধর্মীয় সংগঠন যাদের কয়েক হাজার ভক্ত ও অনুগামী রয়েছেন শুধু দুর্গাপুরেই, কী করে সেই সংগঠনের সদস্যরা ভিআইপি আসনে বসে কোনও এক রাজনৈতিক দলের জনসভায় যোগ দেন? দেখুন জেলা সভাপতির সেই বক্তব্যের ভিডিও।