নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- শনিবার গভীর রাতে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা থেকে ডিএসপি আধিকারিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। রহস্যজনক এই মৃত্যু ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। নিছকই দুর্ঘটনা না এর পেছনে রয়েছে রহস্যময় কোনো কারণ? প্রশ্ন তুলেছে মৃত শমিকবাবুর পরিবারের লোকজন থেকে সহকর্মী এমনকি শ্রমিক সংগঠনগুলিও।
প্রসঙ্গত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেটিরিয়াল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার শমিত ভট্টাচার্য গতকাল সকালে প্রতিদিনের মতো নিজের দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সেল কোঅপারেটিভের বাড়ি থেকে ডিউটিতে যান ডিএসপি প্ল্যান্টে। কিন্তু সকাল এগারোটার পর কারখানার ভেতর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পুলিশে খবর দেওয়া হলে ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশ কুকুর নিয়ে কারখানার ভেতর তল্লাশি চালায়, কিন্তু শমিতবাবুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর নাইট শিফটের ডিউটিতে যোগ দিয়ে তারই এক সহকর্মী দেখতে পান ২৫ বাঙ্কারের লিফটের নিচে পড়ে রয়েছে শমিত ভট্টাচার্যের দেহ।
কিন্তু কারখানার ভেতর লিফটের তলায় শমিতবাবুর দেহ কী করে গেল? তার মৃত্যুই বা হল কী করে? শমিতবাবুর রহস্য মত্যু নিয়ে উঠছে এরকম নানা প্রশ্ন। যদিও পুলিশি তদন্তে এখনো কোনো সদুত্তর মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি থেকে শুরু করে তদন্তের স্বার্থে যা যা করা উচিত সবটাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে ঠিক এইরকম ভাবে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার এক কর্মী নিখোঁজ হন। পড়ে তার দেহ উদ্ধার হয় কারখানার ভেতর থেকেই। সেই মৃত্যু রহস্যের সমাধান হয়নি। এদিকে বছর ঘুরতে না ঘুরতে ফের একই রকম রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন কারখানার কর্মচারীরা।