নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে নতুন করে ঘেরা হল ঘটনাস্থল মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন পরাণগঞ্জ জঙ্গলের আরো ৫০ মিটার। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে তদন্তে গতি আনতে এদিন কলকাতার সাইবার বিশেষজ্ঞ নিউটাউন শিপ থানার তদন্তকারী আধিকারীকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
প্রসঙ্গত গতশুক্রবার রাতে গণধর্ষণ ঘটনার পরদিনই পুলিশ তদন্তে নেমে পরাণগঞ্জের জঙ্গলে ঘটনাস্থল ঘিরে দেয়। গতমঙ্গলবার সকালে নির্যাতিতার সহপাঠী ও ধৃত পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর রাতেই নির্যাতিতার সহপাঠী পুরষ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার পর বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে পরাণগঞ্জ জঙ্গলের আরো ৫০ মিটার জায়গা ঘিরে ফেলে পুলিশ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি তদন্তে নতুন কোনও সূত্র মিলেছে! আবার সূত্র মারফত জানা গেছে, পুলিশের হাতে নতুন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। যা পাওয়া গেছে নির্যাতিতা ও তার সঙ্গী সহপাঠীর মোবাইল ফোন থেকে।
অন্যদিকে এদিন কলকাতা হাই কোর্টের আইনিজীবী তথা সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাষ চট্টোপাধ্যায় এদিন ঘটনার তদন্তে সাহায্য় করার জন্য নিউটাউনশিপ থানায় পৌঁছন। জানা গেছে সেখানে তিনি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায়, সিআই (এ) রণবীর বাগের উপস্থিতিতে একপ্রস্থ আলোচনা করেন। এমনকি তার উপস্থিতিতে ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হয় বলেও সূত্রে মারফত জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনই জঙ্গল সংলগ্ন বিজড়া গ্রামের বাসিন্দা। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযুক্তরা দোশী প্রমাণিত হলে তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।





