সংবাদদাতা,জলপাইগুড়িঃ- জলপাইগুড়ি জেলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ ধুপগুড়ি। ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত ধুপগুড়ি থানার কালী পুজো ঘিরে রয়েছে এক অলৌকিক কাঁঠাল কাহিনী। থানার কালী মন্দিরটি বেশ পুরনো। ৭০ বছর ধরে এই থানায় পূজিতা হচ্ছেন মা কালী। কার্তিক অমাবস্যায় কালীপুজোর দিন হয় বিশেষ পুজো। প্রচীন মন্দিরটি কয়েক বছর আগে নতুন আঙ্গিকে তৈরি হলেও বদল হয়নি ৭০ বছর ধরে চলে আসা কালী পুজোর রীতিনীতি। আজও কালী পুজোর রাতে থানা চত্বরে থাকা কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল দিয়ে মাকে নিবেদন করা হয় বিশেষ ভোগ। অলৌকিক ফলের নৈবেদ্য দিয়েই হয় পুজো।
এই অলৌকিক কাঁঠাল গাছ সম্পর্কে জানা যায় প্রতি বছর কালী পুজোর আগে গাছে ফল আসে। দুটি ফল। ভাদ্র মাসের মরশুমি ফল কাঁঠল কার্তিক মাসে ফলিত হয়। এটাই তো আশ্চর্যজনক! কিন্তু এই গাছের অলৌকিকতা এখানেই শেষ নয়। কালী পুজোর সময় গাছের দুটি ফলের মধ্যে একটি কাঁচা থাকে অন্যটি পেকে যায়। পাকা কাঠালটি মায়ের নৈবেদ্যয় দেওয়া হয়। কাঁচা কাঠাল অর্থাৎ এঁচড় দিয়ে মায়ের ভোগ রান্না করে নিবেদন করা হয়। এই ঘটনা গত ৭০ বছর ধরে একইভাবে ঘটে চলেছে। এমনকি অনেক সময় গাছে ফল আসতে দেরি হলে থানার আধিকারিকরা খুব আশঙ্কায় থাকেন। আশঙ্কা, এবার তাহলে মাকে আর কাঁঠালের ভোগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই আশঙ্কা কখনও সত্যি হয়নি। এমনটাই জানালেন ৩০ বছর ধরে মায়ের এই মন্দিরের পুরোহিত নিরঞ্জন চক্রবর্তী।
ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য জানান তিনি যখন থেকে এই থানায় এসেছেন, তখন থেকেই এই কাঁঠাল গাছের অলৌকিকত্বের সাক্ষ্মী থেকেছেন। কালীপুজোর দিন, পুলিস সুপার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন।
এই অলৌকিক কাঁঠাল গাছ ধূপগুড়ি থানার কালীপুজোকে এক অন্যমাত্রা দিয়েছে। এবছরও থানা চত্বরের কাঠাঁল গাছটিতে দুটি ফল এসেছে। সেই ফল দিয়েই পুজোর রাতে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হবে মাকে।