সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ- শব্দবাজি প্রায় রুখে দেওয়া গেছে। তবে, শব্দ দানবকে এক্কেবারে ধরাশায়ী করতে এবার বিকট শব্দ উৎপাদনকারী ‘ডিজে সিস্টেম’ কে এবার নিশানায় আনল জেলা পুলিশ। মঙ্গঁলবার আর বুধবার পুরুলিয়ার সব বড় বড় কালীপূজোর বিসর্জনের চূড়ান্ত দিন নির্ধারিত হয়েছে। এই দু’দিনই শব্দবাজির পাশাপাশি ‘ডিজে’ নিয়ে এবার কড়া মনোভাব জেলা পুলিশের।
দুর্গাপূজোয় বিসর্জনে ‘ডিজে’ র শব্দ দানবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল জেলাবাসী। বিষয়টি পুরুলিয়া শহরের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়ার নজরে আনে। কালীপূজোয় যাতে ‘ডিজে’ ত্রাস জারি না থাকে, সেজন্য গোড়া থেকেই সচেতন ছিল পুলিশ। জেলার প্রতিটি থানাকে ‘ডিজে’ তান্ডব রুখে দেওয়ার জন্য আলাদা করে নির্দেশ জারি হয়। পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানান,”বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে নাকা চেকিং করে এবছর আমরা প্রচুর পরিমানে শব্দবাজি আটক করেছি। এবার লক্ষ্য বিসর্জনে ডিজে থামানো। সব পূজো কমিটিকে ‘ডিজে’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে দিয়েছি। কথা না শুনলে ফল ভোগ করতে হবে কমিটিকে”।
রাজ্যের মধ্যে ‘ডিজে’ সিস্টেমের উৎপাত সবচেয়ে বেশি পুরুলিয়া জেলা আর পুরুলিয়া সংলগ্ন বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে। পুরুলিয়া শহরে প্রায় ডজন খানেক ডিজে সাউন্ড সিস্টেম বানানোর কারখানাও চালু হয়েছে। সেগুলিতে প্রতিযোগীতা করে নিত্য নতুন বুক কাঁপানো সাউন্ড বিট তৈরীর গবেষণা চলছে রীতিমতো।