নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়: রাজ্য জুড়ে এনআরএস কাণ্ডের জেরে জেরবার রাজ্যবাসী। নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক চিকিৎসকদের। আর চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল এক রোগীর। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিবনতলা থানা এলাকার ঘুটিয়ারি শরিফ গ্রামীণ হাসপাতালে। কলকাতা এন আর এস কান্ডের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আর তাদেরই পথে হেটে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা একই পথে হেঁটেছেন। ফলে রাজ্য জুড়ে সমস্ত হাসপাতালগুলিতে বিশৃংখল পরিস্থিতি। এরই মধ্যে বুধবার জিবনতলা থানা এলাকার বাসরা অঞ্চলের বাসিন্দা শিখা গোমস্তা নামে ১ মহিলা কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঘুটিয়ারি শরিফ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তারা দেখেন চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ, চিকিৎসকরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় বসে রয়েছেন কয়েকশো রোগী। বাধ্য হয়ে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও পরে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় শিখা দেবী। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জিবনতলা থানা এলাকায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসকদের এই ধর্মঘটের জেরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল ওই রোগীর। একই অবস্থা বাঁকুড়া জেলাতেও। এন আর এস হাসপাতালে চিকিৎসকদের ডাক দেওয়ার পর থেকেই আঁচ পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে। ব্যতিক্রম নয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার সকালে গিয়ে দেখা গেল, হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ। রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের ভীড়ে হাসপাতলে পা ফেলার জায়গা নেই, অথচ কর্মবিরতির ডাক দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ বিভিন্ন রকমের রোগী নিয়ে চরম সমস্যায় রোগীদের পরিজনেরা। এরকম পরিস্থিতিতে এক প্রকার বাধ্য হয়ে বুধবার সকাল থেকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হলেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর পরিজনেরা। কিন্তু বেলা গড়ালেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুরু হয়নি চিকিৎসা পরিষেবা, আর জুনিয়ার চিকিৎসকদের এহেন ধর্মঘট কতক্ষণ বা কতদিন চলবে সে বিষয়েও কোন সদুত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।