eaibanglai
Homeএই বাংলায়অর্থনৈতিক দিক থেকে পেছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য 'প্রজ্বলন'

অর্থনৈতিক দিক থেকে পেছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ‘প্রজ্বলন’

নীহারিকা মুখার্জ্জী, দমদমঃ- বর্তমান যুগে ‘প্রফিট’ যেখানে মূল লক্ষ্য সেখানে সত্যিকারের পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে আসে কেউ কেউ। আজ যতই সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হোক না কেন এখনো সমাজে অর্থনৈতিক দিক থেকে পেছিয়ে পড়া বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীর অস্তিত্ব আছে। অর্থের অভাবে এদের কেউ কেউ মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

ক্ষুদ্র পরিসরে দীর্ঘদিন ধরেই এইসব অভাবী ছাত্রছাত্রীদের একাংশের পাশে আছে দক্ষিণ দমদমের সর্ণালী ও পঙ্কজ দম্পতি যুগল। নিজেদের এলাকায় স্বল্প বা বিনা বেতনে বহু ছাত্রছাত্রী এদের সাহায্য পেয়ে চলেছে। শিক্ষাদানের জন্য এরা গঠন করে ‘প্রজ্বলন’ এবং তারই মাধ্যমে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে চলেছে। বেশী সংখ্যক ছেলেমেয়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবার অফলাইনের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে শিক্ষা প্রদান করার জন্য এগিয়ে এল এই দম্পতি যুগল।

অর্থনৈতিক দূরবস্থা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণের পথে যাতে কোনোরকম বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য ২০২৪ এর শুরু থেকেই তারা তাদের এই কর্মকাণ্ড শুরু করতে চলেছে। জানা যাচ্ছে পঞ্চম থেকে স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাদের এই প্রচেষ্টা।

স্বল্প বা বিনা বেতন হলেও এরা কখনোই‌ শিক্ষার মানের সাথে সমঝোতা করেনি। সর্বদা উন্নত মানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। ইতিমধ্যে মধ্যে এদের সহযোগিতায় অনেকেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রদান ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে এই দম্পতি যুগল নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করে আসছে।

এই দম্পতি যুগলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিরাটির ‘আদরবাসা’-র অর্পিতা ইন্দ্র। তিনি বললেন – চলার পথে অনেক বাধা আসবে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই কটু কথা বলবে। দৃঢ়তার সঙ্গে যদি তারা এইসব বাধার মোকাবিলা করতে পারে তাহলে তাদের এই প্রচেষ্টা অবশ্যই সফল হবে। অর্পিতা দেবী নিজেও লকডাউনের সময় থেকে বেশ কিছু শিশুকে শিক্ষাদান করে চলেছেন।

‘প্রজ্বলন’ এর পক্ষ থেকে সর্ণালী দেবী বললেন – লাভ নয় আমাদের লক্ষ্য পরিষেবা দেওয়া। আশাকরি আমরা লক্ষ্যচ্যুত হবনা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments