সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, দুর্গাপুরঃ- ভাই-বোনের ভালোবাসার প্রতীক হলো রাখি বন্ধন উৎসব। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এই দিন বোনেরা ভাইদের মঙ্গল কামনা করে তাদের হাতে রাখি নামে একটি পবিত্র সূতো বেঁধে দেয়। অন্যদিকে বোনদেরও সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় ভাইয়েরা।
ধীরে ধীরে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করতে শুরু করে। এই আন্দোলনের মূল আঁতুর ঘর ছিল বাংলা। আন্দোলনকে দুর্বল করার লক্ষ্যে বড়লাট লর্ড কার্জন ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনাকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে হাজার হাজার বাঙালি রাস্তায় নামে। তখন হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে একতার প্রতীক হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে রাখি বেঁধে ভ্রাতৃত্বের বার্তা প্রচার করেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা রাখি বন্ধন উৎসবকে নতুন মাত্রা এনে দেয়। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে পালিত হতে থাকে এই উৎসব।
‘বাংলার মুখ’ সংগঠনের উদ্যোগে ১৯ শে আগস্ট দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার বাস স্টপেজে পালিত হলো রাখিবন্ধন উৎসব। সংগঠনের মহিলা সদস্যরা বাস, চারচাকা চালক সহ পথ চলতি সাধারণ মানুষের হাতে পরিয়ে দেয় পবিত্র রাখি। প্রত্যেকেই তাদের এই উদ্যোগে খুব খুশি।
উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি মনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ লাহা, সহ সভাপতি নন্দিতা চক্রবর্তী, বার্তা বহ সম্পাদক অনিন্দিতা মুখার্জী, কার্যকরী সভাপতি সৌম্য আফতাব হোসেন সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা।
সোমনাথ বাবু বললেন – সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সবাইকে বেঁধে রাখার লক্ষ্যে এবং ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে আমাদের মহিলা সদস্যরা পথচলতি মানুষের হাতে রাখি বেঁধে দিয়েছে।