সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– বনধের দিনে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শহর দুর্গাপুর। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর মিছিলে ও সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসকদলের নেতারা।
এদিন বিকেলে আর জি করের ঘটনার বিচার চেয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। অভিযোগ, সেই মিছিল যখন সিটি সেন্টারে দুর্গাপুর পুরনিগম ভবনের কাছে পৌঁছায়, তখন বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মী ও সমর্থক । মিছিলে থাকা মহিলা ও পুরুষদের উপরে লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। তারপরে সেখানে পর পর বেশ কয়েকটি বোমা ছোঁড়া হয়। মুহুর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে মিছিলে থাকা মহিলারা এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। ডিওয়াইএফআই কর্মীদের সাথে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতিও হয়। মুহুর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দুর্গাপুর পুরনিগম মোড় এলাকা । শুধু মিছিলের উপর নয়, এরপরে কিছুটা দুরে সিটি সেন্টারেই সিপিএমের দলীয় কার্যালয় বিমল দাশগুপ্ত ভবনেও হামলা চালানো হয়। সেখানেও একাধিক বোমা ছোঁড়া হয়। পার্টি অফিসে থাকা একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (ইষ্ট) অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
হামলা করা আক্রমনকারীদের বাধা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন দলের নেতা ও কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবেই ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল চলছিল। কিন্তু, দুর্গাপুর পুরনিগমের কাছে মিছিল আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। জেলা কমিটির সদস্য সহ ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তারমধ্যে মহিলারাও রয়েছেন।” তিনি এই হামলার নিন্দার পাশাপাশি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, সদ্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পঙ্কজ রায় সরকার ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ডিওয়াইএফআইয়ের সঙ্গে বিজেপি মিলে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি আমাদের অন্তত ১০ জন কর্মী সেই হামলায় আহত হয়েছেন। আমরা কোন মিছিলে হামলা চালাইনি।”