নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুরে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই ব্যক্তি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় গতকাল, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে “গ্রাম চলো অভিযানে” দুর্গাপুরের লাউদোহা থানার অন্তর্গত গৌরবাজার পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে বিজেপি একটি বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। সেখানে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি মেধাবী কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের সম্বর্ধনা কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ ওই কর্মসূচি বানচাল করতে বাইকে করে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত বেশ কয়েকজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী এবং তাণ্ডব শুরু করে। পরে কর্মসূচি শেষে স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা জিতা লাহার স্বামী বিকাশ লাহাকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর শুরু করে। লোহার রড দিয়ে তার চোখে আঘাত করা হয়। বা চোখে গুরুতর আঘাত পান বিকাশ লাহা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাকে লাউদোহা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আজ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি গতকাল তাঁদের দলের কিছু যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মতবিরোধ ও ধস্তাধস্তি হয়। তার জেরে তাঁদের দলের সঞ্জয় রাউত নামে এক যুবক জখম হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো কর্মসূচির কোনো যোগ নেই। তাঁদের দাবি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে বিজেপির কোনো অস্তিত্বই নেই। বর্তমান সময়ে মানুষকে উদভ্রান্ত করার জন্য বিজেপি মিথ্যে রটনা করছে। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।