eaibanglai
Homeএই বাংলায়পুজোর দেদার ভুরিভোজ, আয়োজনে দুর্গাপুর পিয়ারলেস ইন

পুজোর দেদার ভুরিভোজ, আয়োজনে দুর্গাপুর পিয়ারলেস ইন

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মায়ের আগমনী সুর বাজছে প্রকৃতিতে। আর খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে দুর্গা পুজো মানেই শরতের নীল আকাশ, কাশ ফুল, শিউলি ফুল,পুষ্পাঞ্জলি, প্যান্ডেল হপিং, জমিয়ে আনন্দ আর চুটিয়ে পেট পুজো। এককথায় বলতে গেলে দুর্গাপুজো মানেই আড্ডা সাথে দেদার পেটপুজো। শহরের অন্যতম ঐতিহ্যশালী হোটেল পিয়ারলেস ইনের রেস্তোরাঁ ‘আহেলী’ এবারের দুর্গাপুজো মেনু নিয়ে হাজির। পুজোর কটা দিন একেবারে সাধ্যের মধ্যে দেদার পেটপুজোর ব্যবস্থা করেছন তাঁরা। তাও আবার একেবারে খাঁটি বাঙালি খাবারের স্বাদ নিয়ে। খানাপিনার সে এক এলাহি আয়োজন। পদ যেন শেষ আর হয় না।

প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে আসছে এই ‘আহেলী’। তাদের এবার দুর্গাপুজোর স্পেশাল থালিতে কী কী থাকছে জানতে ইচ্ছে করছে তো? চলুন জেনে নিই। এবার ‘আহেলী’তে মহা ভোজ থালিতে থাকবে ১৭টিরও বেশি আইটেম। যাতে থাকছে ইলিশ, ভেটকি, মাটন এবং চিংড়ি। পুজোয় একদম রাজকীয় স্বাদের সম্ভার। এ ছাড়াও থাকছে দারুন সব আ লা কার্ট আইটেম, যা আহেলীর সেফেরা প্রচুর সময় নিয়ে গবেষণা করে বানিয়েছেন। মেনুতে থাকবে চিতল মাছের মুইঠা, মনোহারি মাংস (বিশেষ মশলা দিয়ে তৈরি রসালো মাটন), কচুপাতা চিংরি ভাপা, চট্টগ্রামের মাটন, সর্ষে মাখা পাবদা, রাজবাড়ীর ইলিশ বিরিয়ানি (বাংলার রাজকীয় রান্নাঘর থেকে অনুপ্রাণিত একটি রাজকীয় ইলিশ বিরিয়ানি) এবং আরও অনেক কিছু। এছাড়া রূঢ় এ বুফেতে থাকবে উৎসবের বিভিন্ন ধরনের খাবার। প্রতিটি বুফের সাথে থাকবে একটি মকটেল এবং একটি এক্সক্‌লুসিভ ইলিশ ডিশ ফ্রি। আর অল্পবয়সীদের জন্য আহেলীর তরফে এবার বিশেষ উপহার মাত্র ৩৯৯ টাকায় আনলিমিটেড ফুড কোর্ট বুফে। পুজোর প্রত্যেকদিনই থাকবে নতুন মেনু। তাই চাইলে প্রতিদিনই আহেলিতে সারতে পারেন পুজোর ভোজ।

দাম? চলুন জেনে নিই। মহাভোজ থালির মূল্য ১০৫৯টাকা (জিএসটি ছাড়া), ভোজ থালি-৭৯৯টাকা (জিএসটি ছাড়া),আহার থালি-৫৯৯টাকা (জিএসটি ছাড়া),রূঢ় এ বুফে ১২০০টাকা(জিএসটি সহ)। এছাড়া আনলিমিটেড ফুড কোর্ট বুফে তো থাকছেই মাত্র ৩৯৯টাকায় (জিএসটি ছাড়া)।

স্বাদের মূল্য তো চোকাতে হবেই। কিন্তু রসনাতৃপ্তিও তো বড় প্রাপ্তি। উৎসবের দিনে বাঙালির পাতে বাংলার পদ পরিবেশন করতে পেরে তাঁরা বেজায় খুশি বলে জানালেন দুর্গাপুর পিয়ারলেস ইনের জিএম নীরজ কুমার মিশ্র। তিনি বলেন, “দুর্গাপুর বাসীর জন্য আমাদের শেফরা ঠাকুরবাড়ি,জমিদার বাড়ি, বাংলার রাজপরিবার ও বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার থেকে হারিয়ে যাওয়া পদগুলি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। অতিথিরা এলে নিশ্চিতভাবেই ভালো সময় কাটাবেন। বাঙালি খাওয়ারের সাথে পরিবেশন করা হবে বাঙালি বাউল গান ও বাংলা ব্যান্ডের গান।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments