নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– চিন্তাভাবনার মধ্যে যদি সদর্থক ভাব থাকে, তাহলে যেমন ব্যক্তি মানুষ উপকৃত হন, সফল হন, তেমনি তাঁর পরিবার ও পারিপার্শ্বিক লোকজনও তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন উপকৃত হন। দুর্গাপুরে এমনই এক ইতিবাচক ভাবনার কর্মশালা হয়ে গেল। কর্মশলাটির আয়োজন করেছিল এক বেসরকারি সমাজসেবী সংস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিটিসেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত হয় ওই কর্মশালা। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিল্প সংস্থার এইচআর বিভাগের আধিকারিকরাই মূলত এই কর্মশালায় অংশগ্রহন করেছিলেন। এছাড়াও ছিলেন শহরের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা গণ।
সংস্থার এক প্রশিক্ষক সত্যেন বসু জানান তিনি ডিপিএলে ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে কর্মরত হলেও মূলত প্যাশন থেকেই এই ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান সময়ে নেতিবাচক ধারণা থেকে যে সামাজিক অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক শঙ্কট দেখা দিচ্ছে সেই অন্ধকার থেকে বার করে মানুষকে আলোর দিকে নিয়ে যেতেই মূলত তারা এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন করে থাকেন বলে জানান। তিনি বলনে, প্রতিনিয়িত আমাদের চারপাশের নেতিবাচক ঘটনাগুলি আমাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে ও মানসিক শান্তিকে বিঘ্নিত করে। আমাদের না সূচ জগতে ঢুকিয়ে দেয়। আর মনের এই অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে প্রতিদিন চলার পথে আমরা যে চিন্তাভাবনা করি মূলত তার পরিবর্তন ঘটাতে হয়। তবে ইতিবাচক চিন্তা বা ইতিবাচক ভাবনা একটি দৈনন্দিন প্রক্রিয়া এর মধ্যে ছেদ পড়লে হবে না। এটির অভ্যাস করে যেতে হবে। ইতিবাচক চিন্তাধারা থাকলে মানুষ জীবনের সবক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে। আর সেই সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মূলত তাঁরা কাজ করে চলেছেন।