নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বিশ্বজুড়ে মানুষ যাকে ‘মহাত্মা’ বা ‘বাপু’ হিসাবে চেনেন, সেই মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর আজ ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি কেবল ভারতের ‘জাতির জনক’ নন, বিশ্ব বন্দিত। পরাধীন ভারতের কোটি কোটি নিপীড়িত মানুষের বুকে স্বাধীনতা এবং অহিংসার প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই অহিংসার লড়াইকে স্বীকৃতি জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘ এই দিনটি আর্ন্তজাতিক অহিংসা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তাই তাঁর জন্ম দিনটি (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আজ গোটা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও পরম শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে গান্ধী জয়ন্তী। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি দুর্গাপুরেও দুর্গাপুর মহকুমা সেবাদল কংগ্রেসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হল এই বিশেষ দিনটি। এই উপলক্ষে এদিন সকালে সংগঠনের রঘুনাথপুর কংগ্রেস সেবাদল কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হয়। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য তরুণ রায়। অনুষ্ঠানে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে ফুল ও মাল্যদানের মাধ্যমে জাতির জনককে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রাশাপাশি আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির জনককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভারতের ইতিহাস মহাত্মাকে বাদ দিয়ে লেখা যায় না। আজীবন তিনি ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ, জাতিভেদ প্রথা, শোষণ এবং হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তাঁর স্বপ্নের ভারত হয়তো এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু গোটা বিশ্বের মানবতাবাদী মনীষার কাছে তিনি আজও অনুপ্রেরণার উৎস। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মহাত্মা গান্ধীর মতো একজন ব্যক্তিত্বের ভীষন অভাব বোধ হয়।”
এদিনের কর্মসূচিতে তরুণ রায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর মহকুমা কংগ্রেস সেবাদলের সভাপতি অমল হালদার, আই এন টি ইউ সি নেতা রানা সরকার, পূর্ণেন্দু পান্ডা, সংগঠনের যুব নেতা সুব্রত ঘোষ, মহিলা কংগ্রেস নেত্রী হাসি দাস, সঙ্গীতা ঘোষ সহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মী ও সদস্যরা।