নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কাউন্টডাউন শেষ। অপেক্ষার শেষ একটা বছরের। দুয়ারে হাজির শারদোৎসব, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সারা রাজ্যের পাশাপাশি দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও নানান সাজে সেজে উঠেছে দুর্গা পুজোর মণ্ডপগুলি। সাবেকি থেকে থিম, বাহারি সাজ ও শিল্পের ছোঁয়ায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে মণ্ডপ থেকে মাতৃ প্রতিমা। রবিবার শুভ চতুর্থীতে দুর্গাপুরের দুই বিগ বাজেটের পুজো উদ্বোধন করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
বেনাচিতির অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ ও সিটিসেন্টারের উর্বশী সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। বিজ বাজেটের এই দুই পুজো দেখতে প্রতিবছরই ভিড় জমান শিল্পাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজন।
এবার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজো ৫৭ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। এ বছরের তাদের পূজোর থিম রাজস্থানের হাওয়া মহল। দুর্গা প্রতিমাতেও রয়েছে রাজস্থানী ছোঁয়া। মনোমুগ্ধকর প্যান্ডেল ও প্রতিমা দেখতে ইতিমধ্যেই এই পুজোয় ভিড় জমাতে শুরু করেছে শহরবাসী। এবার অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের পুজোর বাজেট ৩৫ লক্ষ টাকা। রবিবার পুজোর শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, সাংসদ কীর্তি আজাদ, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ।
অন্যদিকে দুর্গাপুরে বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম উর্বশী সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির পুজো এ বছর ২১ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। এবার তাদের পুজোর থিম এক টুকরো রাজস্থান। মণ্ডপে প্রবেশ করলে রাজস্থানের প্যালেস সহ সেখানকার অনেক কিছু জিনিস দেখতে পাওয়া যাবে। উদ্যোক্তাদের দাবি তাদের মণ্ডপে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীরা কিছুক্ষণের জন্য় রাজস্থানে পৌঁছে যাবেন। এবার তাদের পুজোর বাজেট ৩৫ লক্ষ টাকা। শুভ চতুর্থীতে এখানেও পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের সমবায় ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট জনেরা।