নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– স্ত্রীকে খুন করে মাটিতে পুঁতে টাইলস বসিয়েছিলেন বীররভূমের নানুরের বাসিন্দা হায়দার আলী। দীর্ঘ সাত বছর ধরে চলা মামলায় অবশেষে অভিযুক্ত হায়দার আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শোনালেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক প্রশান্ত চৌধুরী।
অভিযোগকারী পক্ষের আইনজীবী তুষার ব্যানার্জি জানান ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। বেনাচিতির তরুণ রায়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন পেশায় রাজ মিস্ত্রী হায়দার। স্ত্রী রীনা বেগমকে সন্দেহের বশে খুন করে ভাড়া বাড়ির মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তাতে পুঁতে দেন হায়দার আলী। এমনকি প্রমান লোপাট করতে তার উপর টাইলস লাগিয়ে দেয়। এবং স্ত্রী ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে জানিয়েছে পুলিশে নিখোঁজ ডায়রি করে। কিন্তু স্ত্রীকে খুনের কথা বাড়ি মালিক তরুণ রায়কে বলে ফেলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরেই দুর্গাপুর থানার পুলিশকে খবর দেন তরুণবাবু এবং খুনের তিনদিন পর মেঝের কংক্রীট ভেঙে রীনা বেগমের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ড থেকে হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে এই খুনের মামলা চলছিল।