নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার অন্তর্গত আরতি গ্রাম। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।
অভিযোগ এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রসঙ্গত আরতি গ্রামের পাশেই রয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর। স্থানীয়দের দাবি ওই এলাকার জমি নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বহু দিনের। সেই দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে বোমাবাজি ও ভাঙচুর। দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় তাজা বোমা ও গুলির খোল। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি অন্ডাল পিন্টু সিনহা জানান বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের টহলদারি চলছে। সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় আইএনটিটিইউসি কর্মী শেখ মফিজুলের অভিযোগ আইএনটিটিইউসি নেতা শেখ নফিজুলের নেতৃত্বে গোটা এলাকায় সন্ত্রাস চলছে। বিমানবন্দরের জমি থেকে তোলাবাজি সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ওই নেতা ও তার দলবল। তবে বর্তমানে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় নফিজুলের তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যায়। সেই আক্রোশেই গতকাল রাতে শেখ মোবারক নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনায় আহত হন কয়েকজন মহিলা সহ তৃণমূল কর্মীরা। যদিও আইএনটিটিইউসি নেতা শেখ নাফিজুল সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “যারা অভিযোগ করছে তারাই বলতে পারবে কারা বোমাবাজি করেছে।পুলিশ তদন্ত করছে। যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এদিকে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, “বোম,গুলির লড়াই চলছে তৃণমূলের অন্দরে। এটা আবার নতুন কি। মানুষ ভালোভাবেই বুঝতে পারছে বাংলার অবস্থা। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ জবাব দেবে ।”
যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছে। আরতি এলাকার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সৈয়দ আশিক আলী দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে বলেন, “আমি শুনেছি মঙ্গলবার রাতে গ্রামে বোমাবাজি হয়েছে। যারা বোমাবাজি করছে তারা সমাজবিরোধী। পুলিশ তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”