নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– নব জোয়ার কর্মসূচিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সফরে গতকালই দুর্গাপুরে পৌঁছেছেন তৃণমূলের সবর্ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জেলা সফরে এসেই স্থানীয় জনসভা থেকে পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম না করে তাকে কয়লা চোর বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ড। এদিন দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানার লাউদোহা ফুটবল মাঠের জনসভায় কয়লা কাণ্ডে সরব হয়ে অভিষেক বলেন, “সবচেয়ে বড় কয়লা চোরটাকে নিজেদের দলে নিল বিজেপি। লোক চুরি করে জেলে যায় আর বড় চোর চুরি করে বিজেপিতে যায়।” এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। তিনি আরও বলেন, “হেরে যাওয়ার পর তৃণমূলে আসার অনেক চেষ্টা করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু দলের সাথে যারা বেইমানি করে তাদের দলে কোনো জায়গা নেই। পাশাপাশি কয়লা পাচার নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনিনি তিনি। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ” বিজেপি কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া জয়দেব খাকে নিজেদের দলে নিয়েছে । আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এসে দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়ার হোটেলে বসে কয়লা মাফিয়াদের সাথে বৈঠক করছে। আর ইডি, সিবিআইকে দিয়ে রাজ্যকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যে সিবিআই রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি, নারদা, সারদা, জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত করতে পারে না, তারা করবে কয়লা চুরির তদন্ত!” কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে বারবার নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই মামলায় ইডি-র জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারীরা অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জেরা করেছেন। এবার দুর্গাপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়েই সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রকে ‘সবচেয়ে বড় কয়লা মাফিয়া’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সাহস থাকলে নাম করে বলুক।” পাশাপাশি তিনি পাল্টা দাবি করেন “তৃণমূল দলটি খুব শীঘ্রই বিভাজিত হবে। আর তার নেতৃত্বে থাকবে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই। “
এদিনের সভামঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেন, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি, পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখার্জী সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক।