নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের কুমারডিহি গ্রামে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্য়ুকে ঘিরে পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও যে বাড়ি থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়, সেই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে এদিন মোট ১৭ জনকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত গতকাল ভোরে কুমারডিহি গ্রামে রুইদাস পাড়ার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রতিবেশী বাউরি পাড়ার যুবক পল্লব বাউড়ির (২২) ঝুলন্ত দেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মৃত পল্লবের এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। রাতে পল্লব চুপিসারে ওই মহিলার বাড়ি যায়। মহিলার স্বামী বিষয়টি দেখে ফেলে এবং ওই যুবককে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের পরিবারকে না জানিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে ভাংচুর চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছালে ইট বৃষ্টি শুরু হয়। ইটের ঘায়ে জখম হন ডিসি অভিষেক গুপ্তা সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ।
বৃহস্পতিবারের ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে এলাকা থেকে মোট ১৫ জনকে আটক করে পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের বাড়ি থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেই সঞ্জয় রুইদাস ও তার স্ত্রী সীমা রুইদাসকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।





