সংবাদদাতা, দুর্গাপুর ও বাঁকুড়াঃ– মহালয়ায় অবসান ঘটে পিতৃপক্ষের, শুরু হয় দেবীপক্ষ। আর এই শুভ তিথিতে স্বর্গত পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় অঞ্জলি দেওয়া হয় তর্পণের মাধ্যমে।। হিন্দু মতে এদিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল দান করে তপর্ণ করা হলে পিতৃপুরুষদের আশীর্বাদ লাভ করা যায় এবং তার ফলে তর্পণকারীর জীবন শুভ হয়ে ওঠে।
শনিবার দুর্গাপুরের দামোদর নদে তর্পণের উদ্দেশ্য মানুষের ঢল নামে। এদিন দুর্গাপুরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিসর্জন ঘাটে মহালয়ার তর্পণ সারেন মানুষজন। বলা হয়, গঙ্গার সমান ফল পাওয়া যায় দামোদরে তর্পণ করলে। প্রত্যেক বছরই আসানসোল, দুর্গাপুর সহ জেলার দামোদরের বিভিন্ন ঘাট গুলিতে তর্পণের জন্য মানুষের ঢল নামে। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। মহালয়ার ভোর থেকেই মানুষজন তর্পণের উদ্দেশ্য ভিড় জমাতে থাকেন দুর্গাপুরের দামোদরের বিসর্জন ঘাটে। অন্যদিকে ভিড়ের কথা মাথায় রেখে ছিল কড়া পুলিশি নজরদারি। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকেও বিশেষ নজরদারি চালানো হয়।
দুর্গাপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও মহালয়ার ভোরে পুণ্যলগ্নে ধরা পড়ল একই ছবি। বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদে এদিন অসংখ্য মানুষ প্রয়াত পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণে অংশ নেন। দ্বারকেশ্বর নদ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদ, নদী ও পুকুর গুলিতেও তপর্ণের জন্য মানুষের ঢল নেমেছিল।