নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ দুর্গাপুর মানেই যেকোনো মানুষের মনের কোনে প্রথমেই উঁকি দেয় দুটি জিনিস। এক, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা আর দুই, দুর্গাপুর ব্যারেজ। দুর্গাপুর তথা শিল্পশহরবাসীর সঙ্গে একেবারেই ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে দুর্গাপুরের এই দুই আশ্চর্য। হ্যাঁ, আগ্রার তাজমহল পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে এক হলে দুর্গাপুরের দুই আশ্চর্য হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ। কিন্তু এহেন দুর্গাপুর ব্যারেজের ব্যস্ততম রাস্তায় আজ একেবারে বেহাল। এমনিতেই গত বছর দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে ব্যারেজের জলাধার রাতারাতি শুকিয়ে যাওয়ায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক হই হই রব উঠেছিল। সেই দুর্গাপুর ব্যারেজই আবার খবরের শিরোনামে। তবে এবার ব্যারেজের লকগেট নয়, ব্যারেজের রাস্তার হাল এতটাই ভয়াবহ যে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আর এই বর্ষার মরসুমে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। ব্যারেজের রাস্তার জায়গায় জায়গায় প্রায় হাটু সমান গর্ত। কোথাও সেই গর্ত এতটাই বড় যে বৃষ্টির জমা জলে বোঝার উপায় নেই ব্যারেজের নীচে নদী না ওপরে। আর এহেন বেহাল রাস্তা দিয়েই প্রত্যেক দিন হাজার হাজার ভারী ভারী মালবোঝাই লরি যাতায়াত করছে ক্রমাগত। ফলস্বরূপ প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা, আর দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়ে যাওয়ায় বড়-ছোট সমস্ত গাড়িই মাঝে মধ্যে বিগড়ে যাচ্ছে। কখনও গর্তে চাকা আটকে যাচ্ছে, আবার কখনও গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশই ভেঙেচুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও নজর নেই ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের। বাঁকুড়া জেলা তথা অন্য রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই ব্যারেজের রাস্তার এহেন দশা দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের তরফে। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এভাবে দিনের পর দিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে গাড়ি চালকদের। তাই ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সম্প্রতি বেহাল রাস্তার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। আপাতত দেখার এতসব কিছুর পরেও আদৌ দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে কিনা।