eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুর ব্যারাজে বাড়ছে চাপ, জল ছাড়তেই প্লাবিত ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকা

দুর্গাপুর ব্যারাজে বাড়ছে চাপ, জল ছাড়তেই প্লাবিত ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– নিম্নচাপের দরুণ ঝাড়খণ্ড ও এ রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির ফলে জল বাড়ছে অজয়, দামোদর সহ পশ্চিম বর্ধমানের নদ-নদী গুলিতে। দামোদরের জল বাড়ায় মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারেজেও। সেই চাপ কমাতে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ১ হাজার কিউসেক। রাতে বাড়তে বাড়তে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তা পৌঁছে যায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭০০ কিউসেকে। তবে দুপুর ২ টো নাগাদ তা কিছুটা কমে হয় ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক।

অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করেছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন সোনাই চণ্ডীপুর এলাকায়। ধাপে ধাপে গ্রামের ভেতর জল ঢোকায় বেশ কিছু নিচু জায়গায় থাকা বাড়িঘর জল মগ্ন হয়ে পড়েছে। দামোদরের জলে ডুবে গেছে এলাকার সমস্ত চাষের জমি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ কৃষকেরা। এলাকা জলমগ্ন হয়ে বন্ধ প্রায় যান চলাচল। শহরের সাথে এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। নতুন করে আবার যদি ডিভিসি জল ছাড়ে তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। এদিন এলাকা পরিদর্শন করেন মেজিয়া ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবং এলাকার মানুষের মধ্যে চিড়ে, গুড়, ত্রিপল ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।

অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় নিম্ন দামোদরের পশ্চিম বর্ধমানের অংশবিশেষ ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া প্রভৃতি জেলার একাধিক এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। ৭ জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুর্গাপুর ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়ে এই বন্যা পরিস্থিতি ও প্লাবনের জন্য দামোদরের পার থেকে অবৈধ বালি তোলাকেই দায়ী করেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। সাংসদ বলেন, “অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের জেরে দামোদর তীরবর্তী এলাকায় প্লাবনের ঘটনা ঘটছে। রাজ্য সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। নদীর আকৃতি ইংরাজি ভি অক্ষরের মতো হওয়া দরকার। কিন্তু মাঝে বালি না তুলে তোলা হচ্ছে দু’পাশ থেকে। এর ফলে নদীর দুই পাশ গভীর হয়ে যাচ্ছে। ব্যারাজ থেকে জল ছাড়লেই নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments