নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুর ও আসানসোলঃ- বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্য়বসায়ীর বাড়িতে সিবিআই হানার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গির আনন্দনগরের বাসিন্দা সৌরভ কুমার আচার্যের বাড়িতে এদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের একটি দল। পরে বেশ কিছু নথিপত্র সহ ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দলটি। যদিও এদনিরে তল্লাশি অভিযান নিয়ে মুখ খোলনেনি ওই আধিকারিকদের কেউ।
এদিন সকাল সাতটা নাগাদ সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল আনন্দনগরে সৌরভ আচার্যের বাড়ি পৌঁছে যান। যার নেতৃত্বে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিক। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পাহাড়ায় রেখে সিবিআই দলটি সৌরভ আচার্যের বাড়িতে ঢুকে যায় ও গেট বন্ধ করে টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশী অভিযান। এরপর বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ দলটি ফিরে যায়। তবে এই তল্লাশি অভিযানের সময় সৌরভ আচার্য বাড়িতে ছিলেন কিনা জানা যায়নি।
বাড়ি মালিক জানান গত ১০১৮ সাল থেকে পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া রয়েছেন সৌরভ আচার্য এবং তিনি নিজেকে একজন পরিবহন ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের পরিচিয় দেন। তবে সূত্রের খবর কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে দুর্গাপুর ছাড়াও এদিন আসানসোলের বার্ণপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক সিআইএসএফ জওয়ান শ্যামল সিং ও এক কয়লা ব্যবসায়ী স্নেহাশিস তালুকদারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই এবং ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে যায়। এদিন সকাল থেকে শ্যামল সিং এর প্রাসাদোপম বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অভিযান চালায় সিবিআই। পাশাপাশি স্নেহাশীষ তালুকদারের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চলে এবং বেলা বারোটা নাগাদ ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা মুখ খুলতে না চাইলেও সূত্রের খবর শ্যামল সিং এবং স্নেহাশীষ তালুকদারের বিরুদ্ধে লালার সঙ্গে বেআইনি কয়লা পাচার মামলায় যোগসাজসের অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত জানা গেছে কয়লা পাচার মামলায় লালা ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য অনুমতি চেয়ে সিবিআইয়ের তরফে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছিলো। আদালত সেই অনুমতি মঞ্জুর করার পরেই বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তৎপর হয় এবং শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় একযোগে অভিযান শুরু করে।