নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- শংকরপুরের ডিএভি মডেল স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে প্রথম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে “প্রেরণা” র আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রী দেব নারায়ণ বন্দোপাধ্যায় এবং অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়( বোর্ড অফ চেয়ারপারসন ডিএমসি) । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রী এস কে পাল মহাশয় (চেয়ারম্যান ,এল এম সি) , ও স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের প্রিন্সিপাল । তাঁরা উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের তিলক পরিয়ে চারা গাছ প্রদান করে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর গায়ত্রী মন্ত্র সহযোগে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন অতিথিগণ।
অনুষ্ঠানটির মূল বিষয় ছিল ‘প্রেরণা’। স্কুল কয়্যার গ্রুপ উদ্বোধনী সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল বিষয়টিকে ভাব উজ্জ্বল করে তোলে। এরপর শুরু হয় একটি বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৃত্য গীত আবৃত্তি এসবের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি তার মূল সুর ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা পশ্চিমবঙ্গ ডি এ ভি সংস্থার আঞ্চলিক নির্দেশক পাপিয়া মুখার্জি অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে শুধুমাত্র পড়াশোনা নয় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা বা অন্যান্য সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর মান উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে যাতে ছাত্রছাত্রীরা কখনোই পড়াশুনাতে তাদের উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে। ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক বিকাশে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।
অনুষ্ঠানে অতিথি গণ তাঁদের ভাষণে বলেন, আজকের দিনটি শিক্ষার্থীদের দিন। আজ তাদের আনন্দের দিন। তিনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেন যেন তাঁরা শিশুদের এভাবেই আনন্দ করতে দেন। তিনি বলেন, শিশুদের আনন্দোজ্জ্বল মুখ আমাদের বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। অনুষ্ঠানে আয়োজিত নাটক , যোগানুষ্ঠান, ফিউশন, ইন্সট্রুমেন্টাল দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে ।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা ও ডি এ ভির আঞ্চলিক অধিকর্তা পাপিয়া মুখার্জি বলেন,”এই বিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত । আমরা আজ প্রথম বার্ষিক সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। আজ থেকে এই স্কুলের ইতিহাস শুরু হল। এটা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত যে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসেও আমরা বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছি। তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন “শুধু লেখাপড়ার জন্য সন্তানদের ওপর চাপ না দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখুন। সন্তান যখন ভালো মানুষ হয়ে উঠবে, তখন সাফল্য নিজে থেকেই আসবে। আজ, 24টি রাজ্যে, আমাদের ইনস্টিটিউট শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য বৈদিক আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও শিক্ষা প্রদান করে।”
এরপর শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন অতিথিগণ। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ও সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানটির শুভ সমাপ্তি ঘটে।