নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– বার বার চুরির ঘটনায় জেরবার দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া দুটি বড়সড় চুরির ঘটনা সংস্থায় কর্মক্ষমতাকে ব্যহত করে ফেলেছে। পুলিশ ও সংস্থার নিজস্ব টিম ঘটনার অনুসন্ধান করছে পৃথকভাবে। অন্যদিকে এই চুরির পিছনে সংস্থার ভিতরেরই হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। ডিপিএলের ক্ষতি করতেই এই চুরি বলেও দাবি।
প্রসঙ্গত ডিপিএল কারখানায় কয়লা আসে রেলের ওয়াগনে। সেই ওয়াগনগুলি কোল হ্যান্ডেলিং প্লান্টে নিয়ে যায় সংস্থারই নিজস্ব দুটি রেল ইঞ্জিন। গত ৬ তারিখ রাতে দুষ্কৃতীরা একটি ইঞ্জিন থেকে স্টার্টিং মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। যার ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে একটি ইঞ্জিন। এরপর ১৪ তারিখ রাতে ওয়াগান যাতায়াতের পথে অটো সিগন্যাল সিস্টেমের বাক্স ভেঙ্গে যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয় দুষ্কৃতীরা। এই পরিস্থিতিতে এখন কাজ করছে একটি মাত্র ইঞ্জিন। সিগন্যালিং এর কাজও হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। যার ফলে কয়লা বোঝায় ওয়াগনগুলি প্ল্যান্টে নিয়ে গিয়ে খালি করে ফের বার করে নিয়ে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের। সময়ও লাগছে প্রচুর।
চুরি যাওয়া স্টার্টিং মেশিনের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। সিগন্যাল সিস্টেমের যন্ত্রাংশ গুলিও বেশ দামী। কিন্তু শুধু কি টাকার জন্যই এই সব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে দুষ্কৃতীরা? উঠেছে সে প্রশ্নও। সংস্থার এক নিরাপত্তা আধিকারিকের মতে এই ধরনের প্রযুক্তি সম্পর্কে যারা জানে তারাই একমাত্র এসব যন্ত্রপাতি চুরি করতে পারবে। কয়েকজন সন্দেহভাজনের নাম সামনে এসেছে। তাঁর মতে সংস্থার ক্ষতি করতে ভেতরের কেউ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
একদিকে যখন ডিপিএলের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব তিনি তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে তিনটি সংস্থার হাতে। জামা করা হয়েছে কর্মীদের বকেয়া প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকাও। তখন বার বার এই চুরির ঘটনা পুনরুজ্জীবনের কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে এই চুরির জন্য ডিপিএল কর্তৃপক্ষকের সিদ্ধান্তকেই সরাসরি দায়ী করেছেন ডিপিএলের আইএনটিইউসির সম্পাদক উমা পদ দাস। তাঁর দাবি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদের সরিয়ে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করার পর থেকেই এই সব চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।