নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– ভরা বর্ষা, শ্রাবণ মাস পড়ে গেছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে অতিবৃষ্টির জেরে যখন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তখন আমাদের রাজ্যে বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টি বলতে জেলায় জেলায় কিছু বিক্ষপ্ত বৃষ্টিপাত। রাজ্যে এখনো বর্ষার ভারী বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। এদিকে খারিফ শস্য চাষের মরশুম শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে ধানের বীজতলা লাগানোর কাজ। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চাষাবাদে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ডিভিসি-র কাছে বারবার জল ছাড়ার আবেদন জানাচ্ছিল রাজ্যের সেচ দফতর। অবশেষে বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও কৃষি দফতরের সঙ্গে ডিভিসি ও ডিভিআরআরসি (দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেটরি কমিটি) কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয় এবং বৈঠকে জল ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ডিভিআরআরসি। ফলে খারিফ শস্য চাষের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার থেকেই সেচের জন্য জল ছাড়া শুরু করেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। এ দিন মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পাঞ্চেত থেকে ১,২০০ ও মাইথন থেকে ৪,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঞ্চেত থেকে ৪,৩০০ এবং মাইথন থেকে ৩,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হবে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আপাতত ছ’দিন লাগাতার জল ছাড়া হবে। পরে প্রয়োজন হলে ফের এ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে ডিভিসি জল ছাড়ায় সব থেকে বেশী উপকৃত হবে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও বাঁকুড়ার কৃষকরা। তুলনামূলক ভাবে কম লাভবান হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। কারণ, কাঁকসা ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ছাড়া জেলার আর কোনও ব্লকেই সেচখাল নেই।