eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রক্ষা পেল অঙ্গনওয়াড়ির শিশুরা,ভস্মীভূত একাধিক বাড়ি

দুর্গাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রক্ষা পেল অঙ্গনওয়াড়ির শিশুরা,ভস্মীভূত একাধিক বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– শুক্রবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল দুর্গাপুরের বেনাচিতির প্রন্তিকা বস্তির একাধিক বাড়ি। অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা। আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেও এলাকার কোনও জঞ্জালের স্তূপ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অনুমান করছেন দমকলের কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন দুর্গাপুর নগর নিগমের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখার্জি ও প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা।

জানা গেছে এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হঠাৎ বস্তিতে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে প্রথমে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। তড়িঘড়ি দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকটি সিলিন্ডার ফেটে আগুন আরও দ্রুত ছড়াতে থাকে। পরে আরও দুটি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও বস্তি সংলগ্ন লায়ন্স ক্লাব থেকে জলের ব্যবস্থা করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হয়ে যায় বস্তির বেশকিছু বাড়ি।

অন্যদিকে বস্তিতেই রয়েছে একটি অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্র। জানা গেছে অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই কেন্দ্রে শিশুরা উপস্থিত ছিল। ওই কেন্দ্রের এক শিক্ষিকা জানান যখন পড়াশোনা শেষে শিশুদের খাওয়ার দেওয়া হচ্ছিল তখন বাইরের আওয়াজ শুনে তাঁরা আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পারেন ও তড়িঘড়ি শিশুদের কেন্দ্র থেকে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। এরপরই আগুনের গ্রাসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সমস্ত সামগ্রী পুড়ে যায়।

জানা গেছে বেনাচিতির এই প্রান্তিকা বা তালতলা বস্তিতে ৮০ থেকে ৯০ টি বাড়ি রয়েছে। যেখানে প্রায় ৫০টি পরিবারের বসবাস। এদিনের অগ্নিকাণ্ডের জেরে হতাহাতের ঘটনা না ঘটলেও একটি বাড়ি থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে ওই বৃদ্ধ কানে শোনেন না ও চোখেও ভালো দেখতে পান না। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা না গেলেও বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের সর্বস্ব হারিয়ে প্রায় পথে বসেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments