eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুর নগর নিগমে টেন্ডার ডেকে জ্যোতিষী নিয়োগ, বিতর্ক তুঙ্গে

দুর্গাপুর নগর নিগমে টেন্ডার ডেকে জ্যোতিষী নিয়োগ, বিতর্ক তুঙ্গে

নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসকের চেম্বারে বাস্তুদোষ কাটাতে রীতিমতো দরপত্র আহ্বান করে জ্যোতিষী নিয়োগ করা হল। যা নিয়ে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। জন সাধারণের পয়সা অপব্য়বহারের অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ৬ সদস্যের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অসীন হন প্রাক্তন মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। এরই মধ্যে পুর প্রশাসক নিজের চেম্বারের বাস্তুদোষ কাটাতে উদ্যোগী হন। এবং তার জন্য চলতি বছরের ১১ মে রীতিমতো টেন্ডার ডাকা হয় পুরনিগমের পক্ষ থেকে। যেখানে ৪ জন বাস্তুশাস্ত্রবিদ অংশ নিয়েছিলেন। সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা কোট করে টেন্ডার পেয়ে যান অভিজিত মুখোপাধ্যায় নামক এক জ্যোতিষী। আর এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক সমালোচনা।

বিজেপির অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বলেন,”রাজ্যে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। যে জায়গাটা স্থায়ীভাবে ওঁর নয় সে জায়গার বাস্তু দোষ কাটাতে উনি সরকারি অর্থে ব্যয় করেন কীভাবে? সাধারন মানুষের টাকায় এই সব চলতে পারে না।” অন্যদিকে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “আমরা লাগাতার নগর নিগম ঘেরাও করার পরই বাস্তু দোষ ধরা পড়ল নাকি? জ্যোতিষ দেখিয়ে আংটি, পাথরের বিল হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখা উচিত।”

এদিকে বিষটি নিয়ে শহর জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই শুক্রবার ওই টেন্ডার বাতিল করে পুরনিগম। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন পুর প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ও। তিনি সাফাই গান, “একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি। পুরো প্রক্রিয়াটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, ওই জ্যোতিষীর খরচ তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বহন করবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments