নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- একই পরিবারের ৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে। রবিবার ভোরে দুর্গাপুরে কুরুরিয়া ডাঙার মিলনপল্লী এলাকায় অমিত মণ্ডল, তার স্ত্রী, দশ বছরের ছেলে ও এক বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা প্রথমে অমিত মণ্ডলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘরের ভেতরে অমিত বাবুর স্ত্রী ও দুই সন্তানের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। তাদের অভিযোগ খুন করা হয়েছে অমিত মণ্ডল ও তার পরিবারের সকলকে। দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত দেহ সরানো যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তারা।
অন্যদিকে মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অমিত মণ্ডলের পোষ্ট করা একটি দীর্ঘ ম্যাসেজ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই ম্যাসেজ অমিত তার পরিবারের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে শেয়ার করেছে বলে দাবি। সেই ম্যাসেজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে পৌঁছলেও পুলিশি তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা সম্ঙব নয়। যদিও মৃত অমিত মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ অমিত দীর্ঘ ম্যাসেজে তার মা ও তার বাপের বাড়ির পরিবারের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে তাদের পরিবারের সকলের উপর মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেছে। এছাড়াও মামার বাড়ির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আর্থিক ভাবে প্রতারণার অভিযোগ করেছে। সুদীপ্তাদেবীর দাবি, গতকাল রাতে অমিতবাবুর মা বুলারানী মণ্ডল ওই বাড়িতেই ছিলেন। এছাড়াও অমিত বাবুর দেহ হাত বাঁধা ও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। এমনকি বাড়িতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাটি কালো পলিথিন দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। জানা গেছে অমিত মণ্ডল জমিজমা সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে অমিত মণ্ডলের করা হোয়াটস অ্যাপ ম্যাসেজ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা এবং দোষীদের গ্রেফতাদের দাবিতে সরব হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরে অমিত মণ্ডলের মা সহ দুজনকে আটক করে পুলিশ।