নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ পুলিশি তোলাবাজির অভিযোগ শিল্পশহরে নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে এক সব্জি ব্যবসায়ীর গাড়ি চালককে তোলা দিতে অস্বীকার করায় তাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা শিল্পাঞ্চলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এই ঘটনায় জনতার রোষ থেকে রেহাই মেলেনি এক পুলিশ আধিকারিক ও দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারেরও। জনতার মারে গুরুতর আহত হয়েছিল তিন পুলিশকর্মী। কিন্তু সেই ঘটনা থেকেও যে দুর্গাপুর পুলিশ শিক্ষা নেয়নি তার আরও এক উদাহরণ পাওয়া গেল সম্প্রতি দুর্গাপুর জুড়ে পুলিশি তোলাবাজির নতুন ট্রেণ্ড থেকে। এতদিন রাতের অন্ধকারে ভারী গাড়ি, বালি বোঝাই গাড়ি থেকে পুলিশি তোলা আদায়ের অভিযোগ সাধারণ মানুষের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তোলাবাজির ক্ষেত্রেও পুলিশকর্মীরা নতুন পদ্ধতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। শিল্পশহরের আনাচেকানাচে থাকা ইট, বালি, চিপসের খুচরো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরে পুলিশি তোলাবাজি এতটাই বেড়েছে যে তাদের পক্ষে ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বালি-চিপস-সিমেন্ট সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আমদানি বা ক্রেতাকে সরবরাহ করতে গেলেই পুলিশের নজরে পড়ছে মালবোঝাই গাড়িগুলি। জোর করে চালকের কাছ থেকে গাড়ি পিছু ৫০০, ১০০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রত্যেক মাসে স্থানীয় থানার পুলিশ দোকানে এসে জোর করে তোলা আদায় করছে। তোলা দিতে অস্বীকার করলে ব্যবসা চালানো যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশ নিজে না গিয়ে তোলাবাজির কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গাড়ি পিছু এবং প্রত্যেক মাসে পুলিশকে তোলা দিতে গিয়ে ব্যবসায় চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিল্পাঞ্চলের খুচরো ব্যবসায়ীরা।