নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ আটক হওয়া একই নম্বর নাম্বার প্লেটের পুলকার দুটি নিয়ে বাঁকুড়া মোটর ভেহিকালস্ দপ্তরে খোঁজ-খবর শুরু করল দুর্গাপুর পুলিশ। এদিন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা জানান, একই নম্বর প্লেট ব্যবহার করলেও বাঁকুড়ায় দুটি গাড়িই আলাদা আলাদা ভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল, যা গাড়ি দুটির চেসিস্ নম্বর দেখে চিহ্নিত করা গেছে।
সোমবার সকালে শহরের ডিএ ভি মডেল স্কুলের সামনে থেকে একই রেজিস্ট্রেশন নম্বরে (ডাব্লু বি ৬৮ পি ৫৭০৯) এর দুটি গাড়িকে আটক করেন দুর্গাপুরের বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা। এরপরেই দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের নির্দেশে দুর্গাপুর মোটর ভেহিকালস্ বিভাগের আধিকারিকরা বি-জোন ফাঁড়িতে গিয়ে গাড়ি দুটি পরীক্ষা করার পর দেখেন গাড়ি দুটিরই আলাদা আলাদা নম্বর প্লেট রয়েছে। দুটি গাড়িই ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কেনা এবং এগুলি বেআইনি উপায়ে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। এদের আসল মালিক বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বন্দনা মোহান্তি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সিটি সেন্টারের সেল কো-অপারেটিভ পাড়ার একটি পরিবহন সংস্থা বেআইনি ভাবে গাড়ি দুটি দুর্গাপুরে এনে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করছিল। দুর্গাপুর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার তথাগত পান্ডে বলেন, “অন্য গাড়িটির আসল নম্বর ডাবলু বি ৬৭- ৯৯৯২, কিন্তু এটির রোড ট্যাক্স, ইনসিওরেন্স ফেল থাকায় ধরা পড়ার ভয়ে, চালাকি করে এই গাড়িতেও বৈধ গাড়িটির নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমরা আরো বিস্তারিত ভাবে বাঁকুড়ায় খোঁজ নিচ্ছি।”
এদিকে, জাল নম্বর প্লেট ব্যবহারকে ঘিরে পুলকার বির্তকের মাঝে ডি এ ভি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া মুখার্জি বলেন, “ওই গাড়ি দুটি আমাদের নথিভূক্ত পুলকার নয়। আমাদের স্কুলে নথিভুক্ত সমস্ত পুলকারের ফিটনেস, ট্যাক্স, ইন্সুরেন্স তো বটেই গাড়িগুলির, চালক, খালাসির বায়োডাটা ও আমাদের কাছে প্রতিবছর নতুন করে জমা রাখা হয়।” তিনি বলেন, “আমরা যাচাই করে দেখেছি ওই নম্বরের কোন পুলকার আমাদের কাছে নতিভুক্ত নয়।”