নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত রোগীর নাম সীতারাম সাউ, বয়স ৫০ বছর। তিনি দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বাসিন্দা ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে গত ১৪ মার্চ অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ফিসচুলার সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পুরুষ শল্য ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ওই ওয়ার্ডের শৌচালয় থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন হাসপাতালের কর্মীরা।
অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাতে রাতের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক রোগীদের দেখে চলে যাওয়ার পর কর্তব্যরত নার্স ও তাঁর সহযোগীরা রোগীদের উপস্থিতি খতিয়ে দেখার সময় লক্ষ্য করেন ২৫ নম্বর বেডের রোগী নিখোঁজ। তড়িঘড়ি তাঁর খোঁজ শুরু হয় এবং ওই ওয়ার্ডের একটি অব্যবহৃত শৌচালয়ে তাকে গলায় গামছা ফাঁস লাগানো অবস্থা ঝুলতে দেখেন হাসপাতালের কর্মীরা। তড়িঘড়ি তাঁকে ফাঁস মুক্ত করে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অন্যদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে শুক্রবার সকালে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বাম যুব সংগঠন ডি ওয়াই এফ আই -এর সদস্যরা। তারা অবিলম্বে ঘটনার উচ্চতর তদন্তের দাবি জানান। ডি ওয়াই এফ আইয়ের লোকাল কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুণ্ডু এদিন দাবি করেন সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়েছে তারই উদাহরণ দুর্গাপুর মদকুমা হাসপাতালের এদিনের ঘটনা। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবের কারণেই ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি এত বড় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালে কেন সিসিটিভি নেই তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অন্যদিকে রোগীর অপমৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে নজরদারির অভাবের অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মণ্ডল। পাশাপাশি ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।